মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা
  • কঠোর হতে চায় না সরকার, আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

কিডনি কেনাবেচায় জড়িত ২ দালাল গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১২ মে ২০২৪, ১৭:১৭

মানুষের দরিদ্রতাকে পুঁজি ও জিম্মি করে কিডনি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত দালাল চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রবিবার ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য দেন। দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।


গ্রেপ্তারকৃতরা বিশেষ কায়দায় নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কিডনি কেনা-বেচার সাথে জড়িত। তারা আন্তঃদেশীয় দালালচক্রের সদস্য। শনিবার (১১ মে) ইবনেসিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এর সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২), আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮)।


এ চক্রের আরো কয়েকজনের নাম পেয়েছে ডিবি। তারা হলেন, মো. মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফাসহ (৩৭) অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

ওই দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে কিডনি হারানো ব্যক্তির নাম মো. রবিন। কিডনি হারিয়ে আজ তিনি এক কর্মক্ষমতাহীন মানুষ।


এমতাবস্থায় এই চক্রের দ্বারা অন্য আরেকজন ব্যক্তি প্রতারিত হতে গেলে রবিন তা জানতে পারলে ধানমন্ডি থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করতে সহযোগিতা করে।
তিনি এজাহারে বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের কোনো এক তারিখে মিরপুর-১০ নং শাহ আলী মার্কেটের পিছনে চায়ের দোকানে রবিন তার এক বন্ধুর সাথে চা খাচ্ছিলেন। সংসারের অভাব অনটন নিয়ে কথাবার্তা বলছিল। ওই কথাবার্তা চলাকালীন পাশে বসা অভিযুক্ত ১নং পলাতক আসামি মাছুমও চা পান করছিল।

এসব কথাবার্তা শুনে মাছুম নিজ থেকেই তাকে বলে যে, ভারতে তার ব্যবসা আছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দিতে পারবে।


একপর্যায়ে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয় তাদের। পরে এই চক্রের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তার প্রায় ১৫/২০ দিন মোবাইলে কথা হয়। তারা তাকে ভারত নিয়ে যাবে এবং সকল কার্যক্রম করবে মর্মে প্রস্তাব দেন, এতে তিনি রাজি হন। তবে ভারতে নিয়ে গিয়ে তারা তাকে চাকরি দেয়নি। কৌশলে তার কিডনি কেটে নিয়েছে তারা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর