মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ২৫ শহীদ পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান
  • রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ
  • গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা
  • কঠোর হতে চায় না সরকার, আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা

মিয়ানমারে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৩ মে ২০২৪, ১১:৫৫

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আয়োজন ও উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ (পহেলা বৈশাখ) উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাসে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন দেশীয় খেলা, বিনোদনমূলক কার্যক্রম এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারের আয়োজন করা হয়।


রোববার (১২ মে) মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী উ সোয়ে থিয়েন ও তার স্ত্রী, মেয়র উ বো হেতে ও তার স্ত্রী, কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, অন্যান্য কূটনীতিকরা, মিয়ানমারের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের দেশ। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়; এটি রাষ্ট্র ও সংস্কৃতির সীমারেখা ছাড়িয়ে নতুন আশা, পুনর্জাগরণ এবং ঐক্যের চেতনার উদযাপন যা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের মানুষের সমৃদ্ধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহজাত সাংস্কৃতিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ যা আমরা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে উপস্থাপন করি।

মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি আমাদের ঐক্য ও সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ যা আমাদের জাতির চালিকাশক্তি। মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। তিনি সবাইকে পহেলা বৈশাখের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বকে সমৃদ্ধ করে এমন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করতে আহ্বান জানান।

সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয় বিখ্যাত ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি দিয়ে। এছাড়াও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আয়োজন যেমন পুতুল নাচ, সাপের খেলা, জাদু এবং বিঙ্গো আয়োজন করা হয়। পরে অতিথিরা মজাদার খেলা যেমন বেলুন শুটিং, ডার্ট থ্রো-তে অংশগ্রহণ করেন। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বিভিন্ন বাংলাদেশি খাবার যেমন পান্তা-ইলিশ, ভর্তা, বিভিন্ন ধরনের পিঠা, চটপটি, মিষ্টি, কুলফি, নাড়ু, বিভিন্ন তাজা পানীয় দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দূতাবাসকে দৃষ্টিনন্দন রংবেরঙের বর্ণিল ছাতা, মুখোশ, আলোকসজ্জা এবং আলপনা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। আগত অতিথিরা অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর