মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা

ভোগান্তি কমাতে ই-পেমেন্ট চালুর দাবি নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

আবদুল্লাহ আল নাঈম, নোবিপ্রবি

প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২৪, ১৬:৫৯

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি) টার্ম ফি,সেমিস্টার ফি, কাগজপত্র উত্তলন সহ নানাধরনের ফি জমা দিতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ টি ডিপাটমেন্টে ও ২টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে শুধুমাত্র ৪টি ডিপাটমেন্ট অনলাইনে সেমিস্টার ফি দেওয়ার ব্যাবস্থা থাকলেও বাকি ২৯ টি ডিপার্টমেন্ট-ইন্সটিটিউট এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বুথ থাকায় ব্যাংকে টাকা জমা দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

অনলাইনে সেমিস্টার ফি দেওয়া চারটি ডিপার্টমেন্ট হলো ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই), মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই), পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা।

সূত্র জানায়, ফার্মেসি,ইইই,তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে এই সুবিধা ছিলো। বর্তমানে এসব বিভাগে অফলাইনে কার্যক্রম চলমান। ফলে সশরীরে ফি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বাড়তি জামেলা পোহাতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ই-পেমেন্ট পদ্ধতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে ফি পরিশোধে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছে।

জানা যায়, ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি, পুনঃভর্তি, একাডেমিক, হল, পরিবহন, কাগজপত্র উত্তোলন সহ সকল ধরনের ফি অনলাইনে সহজে জমা দিতে পারছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সশরীরে ভর্তি ফি প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির ব্যাবসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের এই যুগে এসেও গতানুগতিক পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ প্রক্রিয়া এখনো বিদ্যমান থাকায় আমাদের মূল্যবান সময় নষ্টের পাশাপাশি পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। টাকা পরিশোধ করতে গেলে লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা লাগে এবং কাগজ সাইন করাতে পড়তে হয় জটিলতায়। অনেক সময় লেগে যায় ১-১.৩০ ঘন্টা। তাই আমরা অতি শিঘ্রই সকল কার্যক্রম অনলাইনে চাই”


নোবিপ্রবির ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী বিবি হালিমা জবা বলেন,“ডিজিটাল ক্ষমতায়নের এই যুগে এসেও শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি কাম্য নয়। সশরীরে বিভিন্ন কগজপত্র উত্তোলনের ফি দিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট ,ও কাজের ব্যাঘাত ঘটায়।এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ যদি ই-পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে তাহলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজে সকল ধরনের ফি প্রদান করতে পারবে, পেমেন্ট করতে নির্ধারিত ব্যাংকিং সময়ের প্রয়োজন হবেনা। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পেমেন্টের ভোগান্তি এবং সময়ের অপচয় থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি মিলবে।
তাই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে ই-পেমেন্ট কার্যক্রম শুরু করার আবেদন জানাচ্ছি।”

নোবিপ্রবির এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগেও আমাদের কে কেন লাইনে দাঁড়িয়ে টার্ম ফি, সেমিস্টার ফি জমা দিতে হবে! বিশ্ববিদ্যালয় তার ১৮ বছরের অধিক সময়ের পথচলায় বিভিন্ন চড়াই উৎরাই এর মধ্যে দিয়ে গেলেও বিভিন্ন ফি জমা দেওয়া কিংবা কাগজপত্র উত্তোলনের সেই পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহার চালু রেখেছে। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সহ প্রায় সকল ব্যাংক একাউন্ট থেকে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পরিশোধের ব্যাবস্থা থাকা সত্ত্বেও আমাদের কে লাইনে দাঁড়িয়ে জমা দেওয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের এই বিল্ডিং থেকে ওই বিল্ডিং এ গিয়ে গিয়ে সাক্ষর নিয়ে জমা দিতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের উদ্দেশ্য শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছে ই পেমেন্ট সিস্টেম, আর আমরা এখনো পেমেন্ট পরিশোধের প্রক্রিয়াতেই পুরোনো আমলে পড়ে আছি।”

এই বিষয়ে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান খান বলেন, “অনলাইনে সেমিস্টার ফি দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও হয়রানি কম হয়। সেই কথা চিন্তা করে আমরা অনলাইনে সেমিস্টার ফি চালু করেছি এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি লাগবের জন্য নানাধরণের ফিচার এড করেছি।”
অন্য ডিপার্টমেন্ট কেন করছে না সেই বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সব রকমের ব্যবস্থা করে রেখেছি। চাইলে যে কোন ডিপার্টমেন্ট অনলাইনে পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে পারে। কেন করছে না সেটা বলতে পারবো না।”


অনলাইনে সেমিস্টার ফি নিয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন,“সেমিস্টার ফি সহ যাবতীয় সব ফি নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্ট সেকশনে। আমরা কোন কিছু চালুও করি নি, বন্ধও করি নি। এই বিষয়ে একাউন্ট সেকশন ও নোবিপ্রবির কতৃপক্ষ ভালো জানবে।”

ইইই বিভাগে কেন হঠাৎ করে অনলাইন থেকে অফলাইনে সেমিস্টার ফি নেওয়া হলো - এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুভ্রত ভৌমিক বলেন, “১৭ তম ব্যাচের ইনস্টিটিউশনাল মেইল সংক্রান্ত জটিলতার কারনে আমাদের অনলাইনে ফি নেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়েছে।”


অনলাইনে সেমিস্টার ফি নিয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন,“যে চারটি ডিপার্টমেন্টের মধ্যে এখন বর্তমানে অনলাইনে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, তারা যদি পজিটিভ সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে সেই সফটওয়্যার বৃহৎ পরিসরে শুরু করা যাবে। শুরুতেই তো সব ডিপার্টমেন্টে চালু করা যায় না।
পরীক্ষামূলক সফটওয়্যারটি ভালো নাকি খারাপ সেটা নিয়ে পজিটিভ সিদ্ধান্ত পেলে আমরা অনলাইনে সেমিস্টার ফি শুরু করতে পারবো।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর