সোমবার, ১৬ই জুন ২০২৫, ২রা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সব জেলায় অসহায় মানুষের কল্যাণে হবে সেবামূলক মেলা
  • লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
  • ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের বৈঠক
  • সরকারি কর্মচারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন আইন উপদেষ্টা
  • শেখ মুজিবের মতো হাসিনাও একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল
  • শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
  • ফের আন্দোলনে কর্মচারীরা, সচিবালয়ে গণজমায়েত আজ
  • ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বিশ্ববাজারে আজও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
  • ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না
  • এবারের কোরবানিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে পশু আমদানি করা হয়নি

ইবিতে ডিজিটাল স্কিলস্ ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু

রবিউল আলম , ইবি

প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২৪, ১৭:০৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে ‘ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রাম’ আয়োজনের মাধ্যমে চালু হচ্ছে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম।

রোববার (১৯ মে) পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম শুরু হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মোঃ মাজহারুল হক।

অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নিং এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এসময় প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো: সাখাওয়াত হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি যা শিখি সেটা আমার ভেতরে নতুন কোন চিন্তার উদ্রেক করে। আশেপাশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা দেয়, সামর্থ্য দেয়। আমরা আপনাদের এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষতা দিতে চাই। এই প্রজেক্টের আওতায় আমরা ডেটা সেন্টার করছি, ইমেইল সার্ভিসকে জোরদার করছি, চাকরির ব্যবস্থা করছি যেন আমরা আমাদের জনবলকে দক্ষ করতে পারে, গবেষণা করার মানসিকতা তৈরি করতে পারি। আমরা যদি এদেরকে দক্ষ করতে পারি তবে তারা সরকারকে ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েদের বিসিএস পাশ করার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আমার মনে হয়না এটি খুব যৌক্তিক কারণ এখানে নিজের স্বাধীন মতো কিছু বলা বা করা যায়, উপরের বস যেন ক্ষুণ্ণ না হন, তা মাথায় রেখে চলতে হয়। চাকরি করতে হবে এটাই যে একমাত্র পথ এমনটা নয়, আপনি চাকরি করবেন পাশাপাশি আপনি নিজেও চাকরি দিবেন এমন একটা মানসিকতা নিয়ে এখন থেকে আগাতে হবে। আমি মনে করি, আপনি যদি লক্ষ্য স্থির করেন তবে আপনি অবশ্যই তা অর্জন করতে পারবেন।

আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ , আপনারা নতুন এমন কিছু করবেন যেন আপনার মত দ্বিতীয় কেউ না হয়। অনেকেই দেখবেন লেখাপড়া না করেও জীবনে সফল আবার হয়তো আপনার ক্লাসের ফার্স্ট জীবনে কিছুই করতে পারেনি। কখনোই শুধু বিসিএস পাশ করার জন্য পড়াশোনা করবেন না। কোন কাজে সফল হতে হলে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে।

প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের পাওয়ারফুল করে তোলা। তারা যেনো নিজেরা এমন স্কিল এবং নলেজ অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলা। আমরা কিছু শিখে যে তোতাপাখি হবো তা নয়, শিখে সাথে সাথে কর্মক্ষম হবো এবং কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এইজন্য আমাদের অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবকরা যেনো কর্মক্ষম হয় এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। আমাদের স্বপ্নের বাংলা, সংস্কারের বাংলা, উন্নয়নের বাংলা, ডিজিটাল বাংলা এবং ৪১ এর পারফেক্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে প্রোডাক্টিভ। তাছাড়া আমাদের অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর এইটা কমানোর জন্য একাডেমিকের সাথে ইন্ডাস্ট্রি যুক্ত করে দিয়ে উস্কিয়ে দিতে হবে। এতে একজন মানুষ নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র‍্যাক্টিসে নিয়োজিত করা যাতে করে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনে মিলে সমন্বয় তৈরি করতে পারলেই কেবল টিকে থেকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর