প্রকাশিত:
২০ মে ২০২৪, ১২:১১
রাঙামাটিতে ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী ও সমর্থকদের হত্যার প্রতিবাদে ডাকা আধা বেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। আজ সোমবার ভোর পাঁচটা থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের যৌথখামার এলাকায় অবরোধের সমর্থনে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক বন্ধ করে দেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে সকাল আটটার দিকে কিছুক্ষণের জন্য আটকা পড়া যানবাহন ছেড়ে দেন অবরোধকারীরা।
আজ সকাল সাতটার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী যৌথখামার এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ কারণে সড়কের দুই পাশের আটকা রয়েছে কয়েক শ গাড়ি। এর মধ্যে বেশ কিছু দূরপাল্লার যানবাহন রয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে। এ সময় স্থানীয় অনেককে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হতে দেখা যায়। তবে রাঙামাটি শহর, জুরাছড়ি, বরকল, রাজস্থলী ও কাপ্তাই উপজেলায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
যৌথখামার এলাকা ছাড়াও ইউপিডিএফ–নিয়ন্ত্রিত নানিয়ারচর, কাউখালী, লংগদু উপজেলার একাংশ ও বাঘাইছড়ি উপজেলার কিছু এলাকায় এ অবরোধ পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক, কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া, কাউখালী সদর, বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এসব সড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ। তবে কোনো এলাকায় অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল নয়টার দিকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের হাড়িকাটা গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফের কর্মী বিদ্যাধন চাকমা (৪৫) ও একই ইউনিয়নের দুদুকছড়া গ্রামের বাসিন্দা (ইউপিডিএফের সমর্থক) ধন্যমণি চাকমা (৩২) নিহত হন। এ ঘটনায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে ইউপিডিএফ। তবে জনসংহতি সমিতি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ইউপিডিএফের অবরোধে সকালে সাপছড়ি যৌথখামার এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হয়। এ ছাড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ করা বেশ কয়েকটি স্থান থেকে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন: