প্রকাশিত:
২০ মে ২০২৪, ১৬:৩৩
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত রামপুরা বেটার লাইফ হাসপাতাল ও আবুল হোটেলের সামনে জড়ো হয়ে প্রায় আড়াইশত চালক সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালুর দাবিতে এ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভের কারণে এ সময় সড়ক তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে চালকরা সড়ক ছেড়ে চলে গেলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, সকালে তারা সড়কে বেশ কিছু দাবি নিয়ে জড়ো হয়েছিল। আমরা তাদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ট্রাফিক পুলিশ তাদের রিকশা আটকায়, রেকার দেয় এসব অভিযোগ তুলেছিল তারা৷ আমরা বলেছি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে আমরা এসব সমস্যার সমাধান করে দেব। তখন তারা সড়ক ছেড়ে চলে যায়৷
ঢাকা মহানগর পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের রামপুরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টা থেকে রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক আছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা এক ঘণ্টার বেশি সময় সড়কে ছিল। পরে তারা পুলিশের আশ্বাসে উঠে যায়৷ তখন সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও তারা উঠে যাওয়ার পর সড়ক ফাঁকা হয়ে গেছে এবং স্বাভাবিক যান চলাচল অব্যাহত আছে।
এ দিকে রামপুরা থেকে আন্দোলনরত রিকশা চালকরা খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় গিয়ে জড়ো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, কিছু অটোরিকশা চালক খিলগাঁও রেলগেটে জড়ো হয়েছেন। আমরা সতর্ক আছি। বড় কিছু ঘটেনি।
এর আগে, রোববার (১৯ মে) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর-১, মিরপুর-১০ ও আগারগাঁও এলাকার সড়কের একাধিক স্থানে অবস্থান নেন চালকরা। পরে দুপুর থেকে রাজধানীর কালশী এলাকায় তাণ্ডব চালান অটোরিকশা চালকরা। একপর্যায়ে তারা বিকেলের দিকে কালশী মোড়ে অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন পরিবহনের একাধিক বাসে ভাঙচুর করেন। এছাড়া, সর্বশেষ কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।
মন্তব্য করুন: