মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার

‘মেয়র আনিসুল হক’ সড়ক পুনরুদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৬ মে ২০২৪, ১৬:২৩

তেজগাঁও সাতরাস্তা হয়ে কারওয়ানবাজার রেলগেট সড়কটি কিছুদিন আগেও ছিল পুরোপুরি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের দখলে। তবে সম্প্রতি এ 'মেয়র আনিসুল হক' সড়কটি পুরোপুরি দখলমুক্ত করেছে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ।

রাজধানীর ব্যস্ততম এ সড়কে যানজট, বিশৃঙ্খলার কারণ সারি সারি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ এখন আর দাঁড়িয়ে নেই। ফলে এ সড়কে চলাচলরত মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়েছে।

কর্মদিবসগুলোতে মেয়র আনিসুল হক সড়কটি ভোর ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শতভাগ পরিষ্কার রাখার ঘোষণাও দিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ।

সাতরাস্তা থেকে রেললাইন পর্যন্ত সড়কে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহু বছরের ট্রাকস্ট্যান্ডটি ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর উচ্ছেদ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক। যে কারণে সে সময় বিক্ষুব্ধ চালক ও শ্রমিকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।

তখন দখলদারদের ইটপাটকেল আর পুলিশের টিয়ারশেলের মধ্যেই সড়কটিকে 'পার্কিংমুক্ত' করে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

কিন্তু আনিসুল হকের মৃত্যুর পর থেকে সড়কটি আবারও দখলদারদের হাতে চলে যায়। অথচ এ সড়ক সাতরাস্তা হয়ে কারওয়ান বাজার, তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট ও তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, গুলশান, নিকেতন, হাতিরঝিল এবং রামপুরার সঙ্গে যুক্ত।

ফার্মগেট-তেজগাঁও ঘিরে রয়েছে এক ডজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়াও, এ সড়ক হয়ে জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, সংবাদপত্র ভবন, ছাপাখানা, প্রধান কার্যালয়সহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং সাধারণ মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের চলাচল হয় এ রাস্তায়। রয়েছে অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস, বিজি প্রেস, বিসিকসহ প্রায় ১০টি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। অথচ, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের পার্কিং ক্ষমতা মাত্র ৭০০ এর কাছাকাছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মনির তালুকদার বলেন, আমরা জায়গার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি, আমাদের জায়গা দিলে এ সমস্যা থাকবে না। আর আমরা ট্রাফিক পুলিশকে সবসময় সহায়তা করি এবং করব।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ জানায়, তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের ধারণক্ষমতা ৬৫০-৭০০ গাড়ির, অথচ প্রতিদিন প্রায় ৫ গুণ ট্রাক কাভার্ডভ্যানের যাতায়াত হয় এ রাস্তায়। শুক্রবার-শনিবার অফিসিয়াল ট্রিপ না থাকায় সব গাড়ি বৃহস্পতিবার রাতে এসে শনিবার পর্যন্ত এখানে অপেক্ষা করে।

এছাড়া ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের রুট পারমিট সারা বাংলাদেশ হওয়ায় সারাদেশ থেকেই ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এবং পিকআপ রাত ১০টার পর থেকে এ এলাকায় এসে জড়ো হয়। কেপিআইভুক্ত এলাকা হওয়ায় দিনের বেলায়ও কিছু ট্রাক কাভার্ডভ্যান এ কেন্দ্রিক অবস্থান করে।

এখন থেকে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে কর্মদিবসগুলোতে মেয়র আনিসুল হক সড়ক ভোর ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শতভাগ পরিষ্কার রাখা হবে বলে জানিয়েছে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ।

শুধু আনিসুল হক সড়কই নয়, ট্রাফিক পুলিশের পরিকল্পনায় রয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার কিছু রাস্তা ওয়ানওয়ে করার মাধ্যমে সামগ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও উন্নত করা।

তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার স্নেহাশীষ কুমার দাস বলেন, ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনায় আমরা গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে মেয়র আনিসুল হক সড়ক শতভাগ পরিষ্কার রাখছি। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এ অবস্থা ধরে রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর