মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার

নারায়ণগঞ্জে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৭৯ শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৪, ১৬:০৪

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় (সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতীত) ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৭৯ জন শিশুকে শনিবার (১ জুন) খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সাংবাদিক ওরিয়েন্টন সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এ বছর ১ জুন দিনব্যাপী ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলার (সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতীত) ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪১ হাজার ১৭৮ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯০ হাজার ৩০১ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এছাড়া শিশুকে জন্মের ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে হবে এবং শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। এ জেলায় (সিটি করপোরেশন ব্যতিত) স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬টি, প্রতি কেন্দ্রে মোট ২ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি পালনের জন্য সর্বস্তরের জনগোষ্ঠিকে অবহিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে সর্বত্র মাইকে প্রচারণার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তাছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিবসটি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেছেন। জেলা তথ্য বিভাগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত আছে। এছাড়াও জেলার মসজিদগুলোতে মাইকের মাধ্যমে জানানোর জন্য ইমামদের প্রতি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া যেসব এলাকায় শিশুদের বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব এলাকাগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ইটভাটা, বেদেপল্লী, পথশিশু, চর এলাকা, এতিমখানা, বস্তিসহ অন্যান্য দুর্গম এলাকাগুলোতে ক্যাম্পেইনের পরবর্তী চারদিন অনুসন্ধান চালানো হবে। কোনো শিশু যদি ক্যাম্পেইনের দিন বাদ পড়ে যায় তাহলে পরেও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খেতে পারবে।

এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল এবং প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল নিরাপদ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।

এ সময় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা. শিল্পী আক্তার।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আসিফ মাহমুদ, ইউনিসেফ কনসালটেন্ট ডাঃ লী শান্তা মন্ডল, জেলা ইপিই সুপারিনটেনডেন্ট মো. লুৎফর রহমান, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক স্বপন দেবনাথ, স্টোর কিপার (ইপিআই) শওকত জামান।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর