মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার

এভারেস্ট অভিযানে বড় চ্যালেঞ্জ পৃষ্ঠপোষকতা: বাবর আলী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৪, ১৭:২৮

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বত এভারেস্টের চূড়ায় বাবর আলী এক ঘণ্টা ১০ মিনিট ছিলেন। এভারেস্ট জয়ের পর নেমে আসার সময় আহত এক পর্বতারোহীর জন্য মানবজটে ছিলেন দেড় ঘণ্টা।


এ সময় শুরু হয় তুষার ঝড়। ঝড়ের সঙ্গে লড়াই করেন আড়াই ঘণ্টা।
সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।
বুধবার (২৯ মে) চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দুই মাসের অভিযান। আজ এভারেস্ট ডে। ১৯২৪ সালে জর্জ মেলোরি মহাকাব্যিক অভিযান ছিল। একশ বছর পর আমি এবারেস্ট আরোহন করতে পেরেছি। আমাদের ভার্টিকাল ড্রিমস ক্লাব ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল বেস ক্যাম্পে পৌঁছি। কুমু আইসফলের (বরফের প্রপাত) রাস্তা তখনো ওপেন হয়নি। এ সড়কটি অ্যালুমিনিয়াম সিঁড়ি দিয়ে পার হতে হয়। প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটে। একজনকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করতে হয়েছিল। এবার ব্লু আইস বেড়ে যায়।

কেউ যদি গ্লোবাল ওয়ার্মিং দেখতে চায় তাকে হিমালয় যেতে হবে। হিমালয়ে প্রচুর সুন্দর লেক। এগুলো কেন সৃষ্টি হচ্ছে? দেখার চোখ থাকলে অনেক কিছু আছে। দুই হাজার মিটারের গাছ আরও উপরে গেলে ঝোঁপ হয়ে যায়। কিন্তু শেকড় মোটা।

তিনি বলেন, শরীর উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য উপরে পৌঁছে নিচে নেমে ঘুমাতাম।

বাবর জানান, ক্যাম্প ৪ এবং এর উপরে পর্বাতারোহীরা অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করলেও চেষ্টা করেছেন অভিযানে যতটা সম্ভব কম কৃত্রিম অক্সিজেন নিতে। কারণ তিনি স্বপ্ন দেখেন আগামীতে অক্সিজেন সহায়তা ছাড়াই কোনো আটহাজারী শৃঙ্গ আরোহন করা।

বাবর এভারেস্টের পাশাপাশি জয় করেছেন লোৎসে পর্বতও। দুই পর্বতে সঙ্গে ছিলেন নেপালের গাইড বাইরে তামাং।

বাবর বলেন, এভারেস্টের উচ্চতা বেশি হলেও লোৎসে আরোহন তুলনামূলক কঠিন। সুস্থ শরীরে ফিরে এসেছি এটা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। চার কেজি ওজন কমেছে।

এভারেস্ট ও লোৎসের চূড়া থেকে দেখা নিচের পৃথিবীর দৃশ্য এ জীবদ্দশায় ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান বাবর।

তিনি জানান, এভারেস্টে অনেক মরদেহ দেখেছি। এর মধ্যে অনেক ইকুইপমেন্ট নতুন, তারা মারা গেছে বেশিদিন হয়নি। এভারেস্ট সামিট করার ক্ষেত্রে আবহাওয়া বড় ফ্যাক্টর। বাংলাদেশের একজন আবহাওয়াবিদ আমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছেন।

শিগগির চাকরিতে যোগ দেবেন জানিয়ে বলেন, চিকিৎসাবিদ্যা ছাড়া কোনো আর্ট জানি না। তাই চাকরি নিতে হবে। সঞ্চয় দিয়ে পর্বতারোহনের নেশা পূরণ করতাম। আমার মনে হয়, এভারেস্ট জয় করার চেয়ে কঠিন এর জন্য তহবিল জোগাড় করা। পৃষ্ঠপোষক পাওয়া। আমি এবার স্পন্সরের কাছে গেছি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি মনে করি, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশের অনেক তরুণ এভারেস্ট জয় করতে পারবে।

এভারেস্ট জয় করে মঙ্গলবার দেশে ফেরেন বাবর আলী।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর