প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৪, ১৭:৫১
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়ের আলোকে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজা এবং রাফায় সামরিক হামলা বন্ধে বাধ্য করাতে অবিলম্বে বিশ্বের মানবতবাদী নেতৃবৃন্দকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ইনচার্জ) ড. আমানুর আমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য বলেন, ইসরাইলি বাহিনী দীর্ঘ সাত দশক ধরে ফিলিস্তিনে নীপিড়ন, আগ্রাসন, গণহত্যা-সহ এক ধরনের জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই হত্যাযজ্ঞ সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইতোপূর্বে চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরাইলকে অনতিবিলম্বে গাজা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু ইসরাইল কোন কিছুই পরোয়া করছে না।
ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে সর্বত্র নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। শত শত বোমা ফেলে মসজিদ, স্কুল, শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের স্তুপ। দীর্ঘ হচ্ছে নিহত ও আহতদের তালিকা। ফিলিস্তিন জনগন প্রতিটা মূহুর্ত বেঁচে আছে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। সবচেয়ে অমানবিক পরিণতি বরণ করতে হচ্ছে সেখানকার মহিলা ও শিশুদের। প্রতিক্ষণ এসব শিশুরা বেঁচে রয়েছে অসহ্য মানসিক যন্ত্রণা ও ভয়ভীতি নিয়ে। দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের সীমান্তগুলোও অবরোধ করে রেখেছে। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন যেন এখন পৃথিবীর একমাত্র উন্মুক্ত কারাগারে রূপ নিয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা, রাফা ও অন্যান্য অঞ্চলের শিবিরগুলোতে বিদেশি ত্রাণ প্রতিষ্ঠানের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এশটি অঞ্চলকে অবরুদ্ধ রেখে যুদ্ধের নামে নিরপরাধ নিরীহ মানুষকে হত্যা কোন মতেই কাম্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তথা যে কোন দেশের এই ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া মানবতার জন্য লজ্জাজনক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনবাসীর ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে তাদের হারানো ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ-সহ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই সংঘাতের স্থায়ী সমাধান করা জরুরি।
মন্তব্য করুন: