প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২৪, ১৩:২৩
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ১৮ বছর পূর্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১৭তম আবর্তনের নবীন শিক্ষার্থীরা।
২৮ মে (মঙ্গলবার) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম আবর্তনের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুক্তমঞ্চ এলাকায় দুই জাতের গাছ (তেলসুর ও কৃষ্ণচূড়া) রোপণের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, দুইটি মোটো নিয়ে তারা এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করেন।প্রথমত ,এই দুই জাতের গাছ লাগানোর মাধ্যমে কুবির প্রশাসনকে একটি খুদে বার্তা দেওয়া যে এই দুটি গাছের যেমন ফুল হয় কিন্তু ফল হয়না তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় যদি অচলাবস্তা ও সংকট চলতে থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা ফলবিহীন এক গাছে রুপান্তর হবে।
দ্বিতীয়ত, বৃক্ষ হচ্ছে শান্তি ও সজীবতার প্রতীক। তাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমরা বৃক্ষরোপন করেছি যেন শান্তির প্রতীক হিসেবে বৃক্ষ কুবির বুকে শান্তি ও সজীবতা ছড়িয়ে দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর এ দিনটিকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় তেমন কোন আয়োজন করেনি প্রশাসন। এছাড়া দীর্ঘ এক মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ যা এখনো চলমান রয়েছে। কবে খুলবে ক্যাম্পাস তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এতে ক্ষুব্ধ নবীন শিক্ষার্থীরাও।
এবিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাহিয়ান বলেন, 'আমরা ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতির মাধ্যমে ৭২ ঘন্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আহবান জানিয়েছিলাম। অন্যথায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তার অংশ হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদ জানাই।'
আইসিটি বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোঃ আসিফ বলেন, 'প্রায় এক মাস থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ। এতে আমরা সেশনজটের আশংকায় ভীত। এমতাবস্থায় আমরা ১৭ তম আবর্তন ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্যম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলাম।তবে ক্যাম্পাস না খোলার কারনে বিবৃতিতে বলা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করি।বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চের পাশে অফলদ গাছ রোপন করি। যা মুলত সেশনজটে পড়লে কুবি শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব থাকবে, তবে জাতি যে ফল সময়ে আশা করে তা দিতে পারবেনা এরই প্রতিকীরূপে উপস্থাপিত হয়েছে।'
মন্তব্য করুন: