মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫, ৩রা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’
  • জ্বালানির দাম বাড়বে কি না জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
  • চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও কর্মচারীদের বিক্ষোভ
  • গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সব জেলায় অসহায় মানুষের কল্যাণে হবে সেবামূলক মেলা
  • লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
  • ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের বৈঠক
  • সরকারি কর্মচারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন আইন উপদেষ্টা
  • শেখ মুজিবের মতো হাসিনাও একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল
  • শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

বঙ্গবন্ধুর শান্তির আহ্বান বিশ্বব্যাপি মূল্যায়িত: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২৪, ১৩:৫৮

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশ্বশান্তি জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাদের সঙ্গে আমি রয়েছি।


আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক। শান্তির জন্য ব্যাকুলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের অপরিহার্য অংশ। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর এইসব চিন্তাধারা এবং শান্তির জন্য তার আহ্বান পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপি মূল্যায়ন হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০মে) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটিজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু: এ চ্যম্পিয়ন অব ওয়ার্ল্ড পিস' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন , ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণজুড়ে তিনি বিশ্বশান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, আমি জানি, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে শহীদদের বিদেহী আত্মাও মিলিত হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব শান্তি পরিষদের দেয়া 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ্বমানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন ছিল এই পদক।

প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর এই অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সাল থেকে প্রতি দুবছর পরপর সম্মানজনক বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে একটি নীতিমালাও করা হবে। এই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া যাবে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- এইসব ক্ষেত্রগুলো পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বিস'র চেয়ারম্যান এএফএম গাওসুল আজম সরকারের সভাপতিত্বে এসময় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর