শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন চুক্তি না করার আহ্বান
  • সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য
  • হাসিনার বক্তব্যের ফরেনসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন
  • ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
  • শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়
  • শ্রমিকদের ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
  • ‘শ্রমিক-মালিকদের যৌথ প্রচেষ্টাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে’
  • মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে
  • জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো বরিশালের আমড়া
  • বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

নাবিকদের ভিসা জটিলতা নিরসনে আশাবাদ আইএমও’র

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২৪, ১৬:৪৭

বাংলাদেশি নাবিকদের বিভিন্ন দেশের সমুদ্রবন্দরে নামতে ভিসা জটিলতা যাতে না থাকে, সে বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আশাবাদ জানান।


বৈঠক শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাবিকরা বিভিন্ন দেশের বন্দরে জাহাজে করে গেলে দেখা যাচ্ছে যে, তারা ভিসা পান না, নামতে পারেন না—এ সমস্যার বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তাকে বলেছি, আমাদের এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। আইএমও থেকে তারা এটা নিয়ে কথা বলবে, কথা বলছে। করোনা মহামারির পর এই সমস্যা বেড়ে গেছে। তিনি (মহাসচিব) আশাবাদী যে, এই সমস্যাটা তিনি সমাধান করতে পারবেন। নাবিকরা যাতে অফশোরে যেতে পারেন। ভিসা জটিলতা যাতে না থাকে, এ বিষয়ে তিনি সফল হবেন, এটা তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে গেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের নাবিকরা যখন জাহাজে করে বিভিন্ন দেশে যান, সেখানে তাদের অফশোরে নানা অসুবিধা হয়। অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হন, জাহাজ থেকে নামতে পারেন না। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। এটা শুধু আমাদের দেশে না অনেক দেশেরই নাবিকদের এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তিনি (মহাসচিব) এ বিষয়ে আইএমও’র পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবেন। এ বিষয়ে আমাদের তিনি আশ্বস্ত করেছেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি (আইএমও মহাসচিব) খুবই আশাবাদী হয়েছেন আমাদের মেরিটাইম খাত নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি খুবই উৎসাহিত হয়েছেন। এখানে শিপ রিসাইক্লিং যে বিষয়টা আছে, আমরা হংকং কনভেনশনে সিগনেচার করেছি। সেখানে আমরা যাতে আইএমও’র পূর্ণ সমর্থন পাই, সেটা আমরা বলেছি। তিনি আমাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গ্রিন শিপইয়ার্ড করার ব্যাপারে এবং ডিকার্বনাইজেশনের ব্যাপারে বাংলাদেশ যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আইএমও ফ্লোরে আমরা একটা প্রেজেন্টেশনও দিয়েছি গত বছর। সেটারও তিনি অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। আমরা মানসম্পন্ন জাহাজ তৈরি করছি, এ কারণে তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো না, আমরা যে জাহাজ রপ্তানি করছি, সেটাও তিনি জানেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমও মহাসচিব শুক্রবার তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে যাবেন। সেখানে তিনি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করবেন। মেরিন একাডেমিতে তিনি নাবিকদের সঙ্গে একটা মিটিং করবেন। এছাড়া সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশের জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য আইএমওকে ধন্যবাদ জানানো হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর