প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২৪, ১৮:১১
কলকাতায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের খণ্ডাংশগুলো সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে মনে করছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে কলকাতা থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, আনোয়ারুল আজীম আনারকে গত ১৩ মে কলকাতার মাটিতে হত্যা করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতায়ও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে তিনজন ঘাতক গ্রেপ্তার রয়েছে। এর মধ্যে মূল ঘাতক হলো আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া।
হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে আর হত্যাটি সংগঠিত হয়েছে কলকাতাতে। মামলাটির তদন্তের জন্য আমরা কলকাতায় গেছি। আমাদের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ও ঘটনাস্থলের ডিজিটাল অ্যাভিডেন্সগুলো দেখতে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, মামলায় ভিকটিমের মরদেহ বা মরদেহের অংশ বিশেষ না পাওয়া গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তার সুরতহাল, ভিসেরা ও মেডিকেল রিপোর্ট দিতে বেগ পেতে হয়। এগুলো না পাওয়া গেলে মামলাটি নিষ্পত্তি করাও অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের তথ্য ক্রসচেক করেছি এছাড়া কলকাতায় গ্রেপ্তার আসামির তথ্য যাচাই-বাছাই করেছি। কলকাতা সিআইডিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মেলানোর চেষ্টা করেছি।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা কলকাতার পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম সুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংক ভেঙে দেখার জন্য। আমরা মনে করি সেখান থেকে ভিকটিমের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষা করে এ বিষয়ে জানাবে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি মরদেহের খণ্ডাংশগুলো এমপি আনারের।
মন্তব্য করুন: