শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন চুক্তি না করার আহ্বান
  • সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য
  • হাসিনার বক্তব্যের ফরেনসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন
  • ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
  • শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়
  • শ্রমিকদের ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
  • ‘শ্রমিক-মালিকদের যৌথ প্রচেষ্টাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে’
  • মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে
  • জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো বরিশালের আমড়া
  • বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

সিকিম-ডোকলাম সীমান্তের কাছে জে-২০ ফাইটার মোতায়েন করল চীন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৪, ১৩:৫৮

সিকিম-ডোকলাম সীমান্তের সবচে কাছের বিমানঘাঁটিতে জে-২০ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে চীন। স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া ছবিতে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসেতে অবস্থিত বিমানবন্দরে চীনা বিমানবাহিনীর জে-২০ স্টিলথ ফাইটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।


বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চট বিমানবন্দরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৪০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। বিমানবন্দরটি সামরিক এবং বেসামরিক দুই ভাবেই ব্যবহার উপযোগী।

জে-২০ স্টিলথ ফাইটার হচ্ছে এখন পর্যন্ত চীনের তৈরি সবচেয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান যা মাইটি ড্রাগন নামেও পরিচিত। ন্যাটোর এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্প থেকে চুরি করা প্রযুক্তি জ্ঞান চীনারা এই ফাইটার জেটে কাজে লাগিয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

শিগাৎসেতের এলাকাটি চীনের বিমানবাহিনীর স্বাভাবিক অপারেশন এলাকার বাইরে এবং ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। বিমানবন্দরটিতে একটি কেজে-৫০০ এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এবং কন্ট্রোল এয়ারক্রাফটও চোখে পড়েছে।

চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমানের মোকাবিলায় ভারত ফ্রান্সে নির্মিত ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনেছে যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারাতে ১৬টি রাফায়েল মোতায়েন আছে।

আটটি ভারতীয় রাফায়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর (ইউএসএএফ) সঙ্গে বিমান যুদ্ধ অনুশীলনের জন্য আলাস্কায় রয়েছে। খবর এনডিটিভি

 

ভারত, ভুটান আর চীন এই তিনটি দেশের সীমান্তে অবস্থিত একটি সরু মালভূমি ডোকলাম। সিকিম সীমান্তের এই এলাকা ভারত ও ভুটান, দুই দেশই ভূটানের অংশ হিসেবে দাবি করে।

তবে ১৯৬২-র ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকেই চীন দাবি করে আসছে, ডোকলাম তাদের এলাকা। ২০১৭ সালে তারা ওই অঞ্চলে একটি রাস্তা তৈরির কাজ চালাচ্ছিল ভুটান সেনাবাহিনী সেই কাজে বাঁধা দেয় এবং ভারতের সাহায্য চায়। এর দুদিন পর ভারতীয় বাহিনী অস্ত্র আর বুলডোজার নিয়ে সেখানে হাজির হলে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে বাধে।

এই এলাকাটি কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে ভারট-চীন উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশটির বাকি অংশের যোগাযোগ যে ‘শিলিগুড়ি করিডোর’ বা ‘চিকেন নেক’-এর ওপর নির্ভরশীল, তার কাছাকাছি চীনা সেনাবাহিনীর অবস্থান ভারতের জন্য অস্বস্তিকর।

এমন পরিস্থিতে ডোকলামের সবচে কাছে বিমান ঘাটিতে চীনের শক্তি বৃদ্ধি নতুন সংঘতের বার্তা দিচ্ছে কিনা ভবিষ্যতই বলে দেবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর