প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২৪, ১৫:১৯
ভারতের চন্ডীগড় বিমানবন্দরে বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপির এমপি কঙ্গনা রানাউতকে ‘চড়’ মারা সেই সিআইএসএফ কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই নারী অফিসারের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ওই নারী কনস্টেবলের নাম কুলবিন্দর কৌর। তিনি সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) সদস্য। তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কঙ্গনাকে চড় মারার বিষয়ে কুলবিন্দর বলেছেন, ‘কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কঙ্গনা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ১০০ রুপির লোভে কৃষকরা বসে আছে। তিনি নিজে কি সেখানে গিয়ে বসবেন? তিনি যখন এই বিবৃতি দেন, তখন আমার মা সেখানে বসে বিক্ষোভ করছিলেন। ’
কৃষকদের অসম্মান করার দায়ে কঙ্গনার প্রতি এই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বলে জানান কুলবিন্দর।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চন্ডীগড় এয়ারপোর্টে ঘটনাটি ঘটে। নির্বাচনে জয়ের পর দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পৌঁছালে সেখানে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন কনস্টেবল কুলবিন্দর। ঘটনার পর পরই তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার পর দিল্লিতে নেমে সিআইএসএফর ডিরেক্টর জেনারেল নীনা সিংহসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে কঙ্গনা। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের ঘটনা সম্পর্কে তাদের জানিয়ে কুলিওন্দারের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ করেন।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কঙ্গনা চেক-ইন কাউন্টারে পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তাকর্মী কুলবিন্দর। এই ভিডিওতে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারার মুহূর্তটি দেখা যায়নি।
তবে ভিডিওতে কনস্টেবলকে বলতে শোনা যায়, তার মাও বিক্ষোভকারীদের একজন ছিলেন।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পর কুলবিন্দরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মোবাইল ফোন ট্রে’তে রাখা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কঙ্গনা তার মোবাইল ফোন ট্রেতে রাখা রাজি হননি। একপর্যায়ে বলিউড অভিনেত্রীকে থাপ্পড় মারেন কুলবিন্দর।
ঘটনার পর বিজেপির এমপি কঙ্গনাও নিজের বক্তব্য দেন।
তিনি অভিযোগ করেন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির পর যখন বের হতেই পাশের একটি কেবিন থেকে ওই নিরাপত্তারক্ষী বেরিয়ে এসে তার আমার গালে চড় মারেন। তাকে গালিগালাজও করেন।
কঙ্গনা বলেন, আমি ওকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, কেন উনি এমনটা করলেন। উনি বললেন, উনি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। আমি নিরাপদে আছি। কিন্তু পাঞ্জাবে যেভাবে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।
মন্তব্য করুন: