মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার

ল্যাপটপে পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২৪, ১৬:৫৪

২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। এছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহারের জন্যও দাবি জানিয়েছে বিসিএস।


স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে হার্ডওয়্যার সার্ভিস খাতকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবাতে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানির ওপর মূসক প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দাবি জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জাতীয় সংগঠন বিসিএস।

শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি উপস্থাপন করেন বিসিএস সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।

তিনি বলেন, ল্যাপটপ আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনার ফলে আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম মূল্যে ল্যাপটপ কেনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ এর পথে ল্যাপটপের এই মূল্য কমানোর সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে এক হাজার ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

ল্যাপটপের ওপর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিসিএস সভাপতি বলেন, ল্যাপটপ এখন বিলাসী কোনো পণ্য নয়। সরকারের ৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে আউটসোর্সিং যারা করছেন তাদের প্রধান হাতিয়ার ল্যাপটপ। এছাড়া শিক্ষা উপকরণ হিসেবেও ল্যাপটপ স্বীকৃত। প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপের ওপর মূসক প্রত্যাহার করা হলেও আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ল্যাপটপের মূল্য আংশিক কমলেও ভোক্তা পর্যায়ে তা ক্রয়সীমাকে ছাড়িয়ে যাবে। ল্যাপটপের ওপর এই অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বাড়ানোকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্তরায় বলে আমরা মনে করি। তাই ল্যাপটপ কম্পিউটারের ওপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে বিবেচনায় নিয়ে এর আমদানি শুল্ক আগের ন্যায় ৫ শতাংশ বহাল রাখা হোক।

ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, হার্ডওয়্যার ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কোনো কার্যক্রম ও প্রবাহ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সম্প্রতি রোবটিকস এবং এআই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবার অন্তর্ভুক্ত হলেও হার্ডওয়্যার সার্ভিস উপেক্ষিত রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যার সার্ভিসকেও অন্তর্ভুক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি।

প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানির ওপর মূসক প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমএফসি প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার ফলে বর্তমানে মোট ডিউটি হার (টিটিআই) ২৬ শতাংশ। আমরা এমএফসি প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানির ক্ষেত্রে মূসক প্রত্যাহার করে ডিউটির হার (টিটিআই) ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলাম। এমএফসি প্রিন্টার দিয়ে মূলত প্রিন্টিং এবং স্কানিংয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। ফটোকপিয়ারের অপশন থাকায় প্রিন্টারের ডিউটি আরোপ করা হয়। মূলত তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মেশিন স্থাপন, সংরক্ষণ ও ব্যবহার ব্যয়বহুল হওয়ায় ব্যবহারকারী এমএফসি প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকে। সুতরাং কম্পিউটার প্রিন্টার, এমএফসি প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজের ক্ষেত্রে মূসক প্রত্যাহার হওয়া প্রয়োজন।

২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের ওপর থেকে মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিসিএস সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটর মনিটরের মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে ২২ ইঞ্চি বা তার নিচের আকারের মনিটর কোনো খ্যাতিমান প্রস্তুতকারক উৎপাদন করে না এবং উৎপাদিত পণ্য মজুদ শেষে আগামীতে ২২ ইঞ্চির নিচে কোনো মনিটর উৎপাদন করা হবে না। অতএব স্বাভাবিক নিয়মেই মনিটরের আকার ২২ ইঞ্চিতে সীমাবদ্ধ করা সমীচীন হবে না এবং এই আকার ২২ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে ২৪ ইঞ্চি নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবি।

অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের মূলধনি যন্ত্রপাতির ওপর এক শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করারও দাবি জানায় বিসিএস।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সহ-সভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূইয়া, মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান এবং পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর