রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড
  • আল জাজিরার তথ্যচিত্রে ড. ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা
  • ‘ফেরেশতা এলেও কয়েক মাসে এ দেশকে ঠিক করতে পারবে না’
  • ব্যবসায়ীদের হুট করে রাজনীতিবিদ হওয়া নিয়ে যা বললেন শ্রম উপদেষ্টা
  • আইএমএফ বেশি শর্ত দিলে সরে আসবে বাংলাদেশ
  • টিসিবির ভুয়া কার্ড বাতিল করে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • যারা জুলাইয়ের বিপক্ষে ছিল তারা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে
  • ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়

কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় বাতিলের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৯ জুন ২০২৪, ১৪:০১

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালে আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৯ জুন) রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এতে বিভিন্ন কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে আমরা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জয়ী হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা সংসদে বাতিল করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টের নেওয়া এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। মেধার ভিত্তিতে দেশ গড়ার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করেছে। সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভঙ্গ করেছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সাম্য গড়েছিল তা ভেঙে দিয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, 'কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নেই’ স্লোগান দেন।

এ সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাকিব বলেন, সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আজ কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের অবহেলা করা হচ্ছে। এ ছাত্রসমাজ কোনো দাবি আদায়ে যতবারই রাস্তায় নেমেছে সেই দাবি আদায় করে রাজপথ ছেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজও আমরা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। যদি এ বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা এ রাজপথ ছাড়বে না।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। তবে ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক কোটাবিরোধী আন্দোলন হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় সরকার।

তার আগে এসব পদে চালু থাকা কোটার ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর বাইরে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ আসন থাকতো।

গত বুধবার (৫ জুন) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর