প্রকাশিত:
১৯ জুলাই ২০২৩, ১৮:৩৩
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা ভাবতেই তাদের (বিএনপি) মন খারাপ। এজন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে খাগড়াছড়িতে হামলা করেছে।
হ্যালো, বিএনপি আপনারা মাথা গরম করবেন না, মন খারাপ করবেন না। আমরা শান্তি চাই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। শান্তি যত বাড়বে, আমাদের ভোট তত বাড়বে। ’
বুধবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর তেঁজগাওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ ও র্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা মালা গেঁথে বসেছিল, কখন আসবে উজরা জেয়া, সেই আশায় চোখেমুখে স্বপ্ন ছিল। আমেরিকার নেতারা চলে গেল। বিএনপির চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে, তাদের গলা শুকিয়ে গেছে। বিএনপির নেতাদের আমেরিকা বলে দিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চায়। আমেরিকা বলে গেছে, কাউকে ছাড়া কোনো কিছু নয়। বাংলাদেশের নিয়ম, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ইউরোপও বলে গেছে। বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দুনিয়ার যত গালিগালাজ তারা দেয়। বিএনপি নেতারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে পর্যন্ত সম্মান দিতে পারে না। আশা পূরণ হয়নি। এখন সব দোষ শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে, এটাই তাদের জ্বালা।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই যে তরুণতুর্কিরা, ফট করে মাথা গরম করো, মাথা গরম করা যাবে না। খেলা হবে, ফাইনাল খেলা ডিসেম্বরে। মোকাবিলা হবে। আসেন বিএনপি নেতারা। জনগণের শক্তি একদিকে, আর একদিকে সন্ত্রাসী আন্দোলন। বিএনপি নির্বাচনে না এলে সেটা আপনাদের বিষয়, কিন্তু বাধা দিলে আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব। ৫৪ দল, আবার ৩৫ দল, এখন বলে ৩২ দল। একবার বলে ২৭ দফা, আবার বলে ১০ দফা, এখন আবার বলে ১ দফা। ভুয়া, ভুয়া!
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব, মান-সম্মান রাখতে চাইলে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের মান সম্মান রাখবে না। বিএনপির ভোট আছে? আছে ভোট? ভোট করার মতো কোনো কাজ আছে? খালি মুখে ভোট বাংলার মানুষ আর দেবে না।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ অপেক্ষা করছে। নদীর তলে টানেল আসছে। এত উন্নয়ন বিএনপির ঘুম নেই। তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে? বিদ্যুতের ফাঁকে কিছুদিন অসুবিধা হয়েছিল। বিএনপি তো মনে করল বিশাল সমস্যা হয়ে গেছে। যে নেত্রী ৩ ঘণ্টা ঘুমায়, ২১ ঘণ্টা কাজ করেন। কার জন্য? মানুষের জন্য। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তার মন খারাপ হয়। তিনি ঘুমাতে পারেন না। আমাদের এরকম নেতা দরকার।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন: