প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৪, ১৭:৫৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারেক জিয়াসহ ১৫ জন আসামি পলাতক রয়েছে। বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলাটির তদন্ত শেষে ৫২ জন আসামির বিরুদ্ধে দুইটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পূর্বে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামির মধ্যে তিন জন আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকার বিজ্ঞ বিচারক ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামির সাজা হয়। এর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন: