বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বন্দিশালা থেকে ফিরলেন ১৫৮ বাংলাদেশি
  • অধ্যাদেশ বাতিল না হলে বৃহস্পতিবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভের ডাক
  • এপ্রিলের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে নির্বাচন
  • এসএসএফ-কে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করে যেতে হবে
  • বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য মানবতার সেবা করা
  • প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড
  • সচিবালয়ে আজও কর্মচারীদের বিক্ষোভ
  • ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘সহনীয়’
  • তেহরানের ৪০০ বাংলাদেশিকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে
  • বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নেই, নেতারা অনলাইনে হম্বিতম্বি করছে

বন্যাদুর্গতদের পাশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২০ জুন ২০২৪, ১২:১৪

টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে দুই জেলার প্রায় সকল উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি মানুষ ঠাঁই খুঁজছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. রুবেল হোসাইন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বানভাসি এ সকল মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা,তাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতসহ সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

রুবেল হোসাইন জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুনামগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ ব্যারাক, ডাইনিং রুম ও হল রুমে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৫১০ জন।

স্থানীয় প্রশাসন ও বাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন আনসার-ভিডিপি সদস্যরা।

তিনি জানান, সিলেট জেলার ৪৭১টি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিটিতে পাঁচজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্বপালন করছেন।
এছাড়া এই জেলার জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের ৫৫০ পরিবারকে জেলা আনসার ও ভিডিপির পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বাহিনীর সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কমান্ডার ও জেলা কমান্ড্যান্ট ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা-দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ও সহকারী আনসার কমান্ডাররা বন্যা মোকাবিলায় শুরু থেকেই সম্পৃক্ত করেছেন বলেও জানান তিনি।

বন্যাদুর্গতদের জন্য বিভিন্ন সরকারি অফিস, স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিওদের খাদ্য বিতরণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সহায়তা করছেন তারা।
দুর্গতদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বন্যার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষদের নৌকায় করে খিচুড়ি, শুকনো খাবার ও খাওয়ার স্যালাইনসহ প্রয়োজনয় ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন বাহিনীর সদস্যরা।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর