প্রকাশিত:
২১ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫৯
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, সাংবাদিকরা পেশাগত দায়ীত্বে যারা যতবেশি সক্রীয় থাকবে। তারা ততো সফল হবে। বিক্ষিপ্ত বা বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘোরা ফেরা বা সংবাদ সংগ্রহের পর তাদের নিজ কার্যালয়ে বা ক্লাবে যত বেশী এক সাথে বসে সময় দিবে, তখন পেশাগত কার্যক্রম ততবেশী গতিশীল থাকবে। একটা নিদিষ্ট সময় করে প্রেস ক্লাবে নিয়মিত বসতে হবে। যারা প্রেস ক্লাবের সদস্য আছেন তারা যতক্ষন সক্রিয় থাকবেন।
ততক্ষণ আপনার সাংবাদিকতা সক্রিয় থাকবে। এছাড়াও সাংবাদিকরা যদি নিয়মিত ক্লাবে বসেন তাহলে কিন্তু প্রেস ক্লাব প্রানবন্ত থাকবে। প্রেসক্লাব করলাম কিন্তু সময় মত খোলা হয় না এবং সেখানে যদি ফেসালেটি না থাকে। তাহলে পেশাগত দায়ীত্ব পালনে সৃজনশীল হওয়া দুঃসাধ্য হয়ে উঠে। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ৯টায় তার নিজ বাস ভবনে কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের নবগঠিত নির্বাহী কমিটি ও সাধারন সদস্যদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
এছাড়াও মন্ত্রী আরো বলেন, আমি সব সময় যেটা মনে করি বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ আপনারা যদি তুলে ধরেন বা যেটা আপনারা করেন সেই নিউজটা যেন কখনই সরকারের স্বার্থ বিরোধী না হয়। সাংবাদিকদের দায়ীত্বই হচ্ছে গঠনমুল সমালোচনা করা।সাংবাদিকদের কাজের দুইটা দৃষ্টি ভঙ্গি আছে একটা হচ্ছে, কিছু সাংবাদিক আছে কাউকে হেয় প্রতিপন্য করে বক্তব্য উপস্থাপন করে। এটা ঠিক নয়। অপর দিকে কিছু মূল ধারার সাংবাদিকরা একজনের ভুল হয়েছে তার পরামর্শ দিয়ে তুলে ধরে। সত্যি বলতে সাংবাদিকদের দায়ীত্ব হলো সরকার, দেশ ও জাতীকে পরামর্শ দেওয়া।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, একটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওই বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরা হলে সরকারের ও জনগণের জানা থাকবে এবং এতে দেশ ও সরকার উপকৃত এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়। আরেকটা হচ্ছে আপনি ভাল কাজ করেছেন আপনাকে হেয় করার জন্য, কাউকে ছোট করার জন্য সাংবাদিকতা করা। দেখেন অনেক কাজ আছে যেমন টেন্ডার হয়েছে কাজ হচ্ছেনা। এটা নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হলে সরকার জানবে । এ রকম সংবাদ না জানলে আসলে একশন নেয়া যায় না। সংবাদের মাধ্যমে সরকার জানবে এবং যারা কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে চাপ দিতে পারবে। এটা হলো সাংবাদিকদের সহায়ক ভুমিকা। সুতরাং আমরা সহায়ক ভূমিকা চাই। এতে যারা কাজের দায়িত্বে থাকে তারাও সচেতন হয়।
আমি মনে করি সৎ সাংবাদিকতা হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। সরকারকে সচেতন করা এবং কোন ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া। সাংবাদিকতার ভাষা হচ্ছে মার্জিত। একটা নিউজ পড়লেই বুঝা যায় একটা হচ্ছে সৎ উদ্দেশ্যে আরেকটা হচ্ছে অসৎ উদ্দেশ্যে। অসচ্ছ সাংবাদিকতা বেশী দিন থাকেনা। আর যারা সততার সাথে ও সচ্ছতার সাথে সাংবাদিকতা করে তাদেরটা মানুষের হৃদয়ে বেশি দিন থাকে। মানুষের কাছে প্রশংশিত হয়। দীর্ঘ স্থায়ী লাভ করে। সচ্ছ ভাবে কাজ করলে আর সাময়িক বা চাঞ্চল্যকর সংবাদ দিলে হয়তোবা একটা গ্রুপ লাভবান হয় তবে বেশী দিন টিকেনা। তবে সাংবাদিকদের সঠিক বলা উচিত।
মন্ত্রী কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবকে পরামর্শ দিয়ে বলেন , এখনতো মোবাইলের মাধ্যমে নিউজের সকল কাজ সম্পর্ন করা যায়। তার পরও প্রেস ক্লাবে বসে মত বিনিময় করা এবং কাজের ফাঁকে ফাঁকে সময় নির্ধারণ করে ক্লাবে বসতে হবে। সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে ব্যাস্ত থাকেন। তবুও যদি ক্লাবে যার যার কাজ শেষে নির্ধারিত সময় করে এক সাথে বসে পেশাগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও সেখানে কম্পিউটারসহ কিছু ইন্টারনাল গেমস, দাবাসহ বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে সময় কাটালে মনটা ভাল থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমারত হোসেন, সহ-সভাপতি শেখর আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, সুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাগর আহাম্মদ , সাংগঠনিক সম্পাদক আলমঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আফসার খাঁন বিপুলসহ কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারন সদস্যগন।
মন্তব্য করুন: