প্রকাশিত:
২৫ জুন ২০২৪, ১৩:৪৯
মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনোয়ারুল কবির।
পিপি আনোয়ারুল কবির বলেন, এই মামলায় পরীমনি আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন, জামিন চান। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলায় গত ১৮ এপ্রিল পরীমনি ও তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নেন আদালত। একই সঙ্গে পরীমনি ও জুনায়েদকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সেদিন সমন জারি করেছিলেন আদালত।
মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমনি ও তাঁর সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমনি তাঁকে (নাসির) ডাক দেন। পরে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাঁকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি হত্যাচেষ্টার জন্য একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন, যা তাঁর মাথায় ও বুকে লাগে।
মামলাটি তদন্ত করে গত এপ্রিলে ঢাকার সিজেএম আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জুনায়েদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধর করার অভিযোগের সত্যতা তদন্তে পেয়েছে পিবিআই। অপর দিকে পরীমনির ছোড়া মদের গ্লাসে নাসিরের গায়ে আঘাত লাগার ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে পিবিআই।
বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ব্যবসায়ী নাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, তুহিন সিদ্দিকী ও শাহ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। ২০২২ সালের ১৮ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন: