প্রকাশিত:
২৬ জুন ২০২৪, ১৭:১৩
দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ থাকলেও খাবারের অভাব নেই। এখন আমাদের পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সর্বমহল থেকে জনসচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
’আজ বুধবার (২৬ জুন) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। কেয়ার বাংলাদেশের নেতৃত্বে জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকামস (জানো) প্রকল্পের ‘জানো সাফল্য উদযাপন: পাঁচ ও অর্ধেক বছরের যাত্রার স্মৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়।
সচেতনতা বানানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিন শ্রেণি কার্যক্রমের শুরুতে প্রথম পাঁচ মিনিট শিক্ষকরা পুষ্টি বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রাথমিক স্তরের পাঠ্য বইয়ের এ সংক্রান্ত একটি অধ্যায় রাখা হয়েছে।
মসজিদে জুমার নামাজের দিন অন্তত পাঁচ মিনিট পুষ্টি সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এছাড়াও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এবং দেশের সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো যেতে পারে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশে একসময় সাত কোটি মানুষের খাবারের অভাব ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ থাকলেও খাবারের অভাব নেই।
তবে এখন চাল চকচকে করতে গিয়ে তার পুষ্টি গুনাগুন হারিয়ে ফেলছি। চালের পুষ্টি মান নিয়ন্ত্রণ করতে চাল কাটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আইন করে দিয়েছে। আমরা চালের পুষ্টিমান ধরে রাখতে কাজ করছি। পুষ্টির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য প্রয়োজন। সেই বিষয়েও আমরা কাজ করছি।
’
মন্ত্রী জানান, সাড়ে পাঁচ বছরে এই প্রকল্প অনেক কাজ করেছে। অথচ মন্ত্রনালয় এই প্রকল্প জেনেছে তিন বছর পর। এটা দুখঃজনক। আমি চাই এই কার্যক্রম সবার সহযোগিতায় সারা দেশে আরো ছড়িয়ে পড়ুক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী ২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক শহীদুল আলম এনডিসি, কেয়ার বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শামিম জাহান, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি সহ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন: