প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৯
এই মৌসুমে ঘরে ঘরে জ্বর। টাইফয়েড, ডেঙ্গু, কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি ঋতু পরিবর্তনের কারণেও মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে বমি, পেটব্যথা, পুরো শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা ও অরুচির সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে রোগী। তাই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার।
কী খাবেন
স্যুপ: জ্বর হলে মুরগির মাংস ও সবজি দিয়ে স্যুপ করে খেতে পারেন। এতে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় রোগী দ্রুত শক্তি পায় এবং সুস্থ হয়। প্রোটিন রোগীকে দ্রুত আরোগ্য লাভে সাহায্য করে। স্যুপ খেতেও সহজ।
ডিম: ডিম–সবজি দিয়ে স্যুপ কিংবা সেদ্ধ ডিম রাখুন খাবারে। ডিমের প্রোটিন আপনাকে বাড়তি শক্তি জোগাবে।
ফলের শরবত: লেবু, কমলা, মাল্টা, বেদানা ও আনারসের জুস খাবেন। এগুলোয় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
দইয়ের লাচ্ছি: দই হচ্ছে প্রোবায়োটিকস। এ সময় জ্বরে পেটব্যথা, বদহজম ও পাতলা পায়খানার সমস্যা হয় অনেকের। তাই খাবার তালিকায় টক দই কিংবা দইয়ের লাচ্ছি রাখতে পারেন। পেট ঠান্ডা রাখবে। হজম ভালো হবে।
ডাবের পানি: ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়ামসহ অন্যান্য মিনারেল রয়েছে, যা রোগীর শরীরে পর্যাপ্ত পানি ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে।
শেক: কলা–দুধ কিংবা কলা–আম দিয়ে শেক করে দিতে পারেন। দুধ ও ফলের শেক, দুধ ও বাদামের শেক দ্রুত জ্বর সারাতে সাহায্য করবে। তবে জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা পেটব্যথা থাকলে কোনো ধরনের শেক দেবেন না।
ফল: মৌসুমি ফল ও কলা খেতে পারেন। ফলে বিদ্যমান অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আপনাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
জাউ ভাত: ভারী ও সহজপাচ্য খাবার হিসেবে রোগীকে এক বা দুবেলা জাউ ভাত দিতে পারেন। সঙ্গে কবুতর বা মুরগির মাংসের ঝোল। চাইলে চাল, ডাল, মাংস, পেঁপে বা অন্য সবজি দিয়ে পাতলা খিচুড়িও করতে পারেন। জ্বরের কারণে রোগী দুর্বল হয়ে যায়। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে শর্করাজাতীয় খাবারের বিকল্প নেই। শর্করা হিসেবে জাউ ভাত বা পাতলা খিচুড়ি দিতে পারেন।
যা খাওয়া যাবে না
রোগীকে বাইরের খাবার, তৈলাক্ত ভাজাপোড়া ও অর্ধসেদ্ধ খাবার দেবেন না। অতিরিক্ত চা-কফি বুক ধড়ফড়ানি বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, জ্বরে নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়। তবে আদা চা, লেবু চা ও মধু দিয়ে লিকার চা খেতে পারেন।
মন্তব্য করুন: