প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৩, ১৩:২৫
ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়ক নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ (ভাঙ্গার মোড়) এলাকায় দেড় মাস ধরে বিদ্যুৎ নেই। ফলে সন্ধ্যার পর পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়।
রাতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বারটি ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়।
ভাঙ্গা ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (মুন্সীগঞ্জ) কাছে বিদ্যুৎ বিলের প্রায় ৩১ লাখ টাকা বকেয়া। বিল পরিশোধ না করায় ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ভাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী (ওজোপাডিকো) সাইদুর রহমান জানান, প্রায় ৩১ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধের জন্য একাধিকবার জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় মঙ্গলবার(৬ জুন) ইন্টারচেঞ্জ এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় ও সড়কে বাতি বন্ধ থাকায় ওই এলাকায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ওজোপাডিকো দায়ভার নেবে না।
এ বিষয়ে সওজের (শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারচেঞ্জের বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়ে যাওয়ায় কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘বিল পরিশোধের জন্য তাদের কাছে ফান্ড নেই।
জানা যায়, অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় স্থানীয়সহ ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এক মাস ধরে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বারটি ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত দাবি করে ভাঙ্গা কোর্ট পাড়ের বাসিন্দা রাহাত হোসেন বলেন, পুরো এলাকায় বিদ্যুতের আলো জ্বলে না।
স্থানীয় ঝালমুড়ি বিক্রেতা শরীফ শেখ জানান, সন্ধ্যার পর পুরো এলাকাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এ কারণে চুরি-ছিনতাইয়ের শঙ্কায় মানুষের সমাগম কমে গেছে। তার বেচাবিক্রিও কমেছে।
মোটরসাইকেল চালক শামিম মাতুব্বরসহ কয়েকজন জানান, গোলচত্বরটিতে বিদ্যুৎ না থাকায় যাত্রীরা ছিনতাইকারী ও মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। পুলিশ টহল দিলেও চুরি-ছিনতাই কমছে না।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সচল থাকা খুবই জরুরি। ঈদের আগে ও পরে ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া বড় অপরাধের ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকায় পুলিশের তৎপরতা রয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বড় একটি অ্যামাউন্ট বকেয়া পড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি ফরিদপুর জেলা সমন্বয় সভায় ডিসি স্যার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন এবং দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে বলেছেন। আশা করছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন: