প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৪, ১৭:৩৯
যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজ শুরু করে দিয়েছেন ডেভিড ল্যামি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে তিনি জার্মানিতে যান। গত শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর দুই নেতা কিছুক্ষণ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দেখেন।
জার্মানি থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি পোল্যান্ডে যান। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকরস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে কয়েক ঘণ্টা পর তিনি ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশ সুইডেনে যান।
শুক্রবার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ল্যামির জার্মানি, পোল্যান্ড ও সুইডেন সফরের একটি কারণ ইউক্রেন। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইউরোপের এই তিন দেশও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে কিয়েভকে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
ইউক্রেন রাশিয়ার আক্রমণের শিকার হওয়ার পর কিয়েভের পাশে থাকার যে প্রতিশ্রুতি যুক্তরাজ্য দিয়েছে, তাতে অবিচল থাকতে চায় দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকার। এরই মধ্যে নতুন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি ওদেসা সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি সেখানে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং দেশটিকে আরও কামান, আড়াই লাখ গুলি এবং প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
জার্মানি সফরের মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি টুইট করে ডেভিড ল্যামি লিখেছেন, ‘এখন আমাদের ইউরোপিয়ান বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের সময়। সে কারণে আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সফরে জার্মানিতে এসেছি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে নতুন একটি নিরাপত্তা চুক্তি করার বিষয়ে লেবারদের আগ্রহের কথা তুলে ধরে ল্যামি বলেন, ‘আমি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ইউরোপীয় ইউিনয়নের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আবার স্থাপন করতে চাই।’
এদিকে গতকাল রোববার (৭ জুলাই) এডিনবরায় গিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোন্নয়নের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পাশাপাশি রাশিয়া, চীন ও গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। জার্মানিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের আকাশে ইরানের তৈরি ড্রোনের ওড়াউড়ি দেখে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। উত্তর কোরিয়া থেকে আসা গোলা ইউরোপের মাটিতে আঘাত হানতে দেখে আমি উদ্বিগ্ন হই এবং অবশ্যই বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে রাশিয়ার অংশীদারত্ব এবং তাদের হয়ে মস্কোর দালালি দেখে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।’
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বের আরও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
মন্তব্য করুন: