রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা সংশোধনে বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
  • এনায়েত উল্লাহর ১৯০ গাড়ি জব্দের আদেশ
  • মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
  • অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না
  • এবার কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ২৪ লাখ
  • স্থায়ী একটি গণমাধ্যম কমিশনের সুপারিশ করেছি
  • হাসিনা-পুতুলসহ পেছালো ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার প্রতিবেদন
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো চুক্তি করেনি সরকার
  • হজযাত্রীদের ভিসা আবেদন সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে করতে হবে
  • ঐকমত্যের জুলাই সনদ তৈরিতে সবাইকে একটু ছাড় দিতে হবে

মিয়ানমার পরিস্থিতি

রাখাইনে দিনভর বিমান হামলা, বিস্ফোরণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২৪, ১১:৩১

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সমর্থিত বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘাত চলছে। (৯ জুলাই) মঙ্গলবার সারা দিন রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদের তীরে শত শত মানুষ এসব দৃশ্য দেখেছে। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে সীমান্তের এপারে।


সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ওপারে ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ সময় রাখাইনের আকাশে বিমান চক্কর দিতে দেখা গেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে চলছিল।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা সোনা আলী বলেন, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাতেঞ্জা ও মন্নিপাড়া গ্রামের অবস্থান।


মঙ্গলবার সারা দিন রাখাইনের ওই দুই গ্রাম ঘিরে হামলা হয়েছে। নাফ নদের জেটি থেকে সব কিছু দেখা যায় এবং বোমা ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা গেছে।
জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা গৃহিণী রহিমা খাতুন বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর পর বিমান উড়ে আসে, যেন আমাদের মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। এরপর বোমার শব্দ হয়।


আমাদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। সারা দিন বিরতিহীনভাবে চলছে। নাফ নদের মিয়ানমার অংশে বোমা পড়তে দেখা যায়।’
রাখাইনের মন্নিপাড়ার বাসিন্দা রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘মন্নিপাড়া এলাকা এখনো জান্তা বাহিনীর দখলে। আরাকান আর্মি এই এলাকার দখল নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।


এ নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে হামলা হচ্ছে। মর্টার শেল, বোমা, বিমান হামলা এ সব কিছুর মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে। কোথাও পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পথও খোলা নেই। গ্রামে মর্টার শেল ও বোমা পড়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর