প্রকাশিত:
১৫ জুলাই ২০২৪, ১১:২৪
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার সমাবেশে গুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলির শব্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প মঞ্চে বসে পড়েন। পরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে টেনে তুললে তার কান ও মুখমণ্ডল দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। তার কান ফুটো করে গুলি চলে যায়।
এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি।
এদিকে তার ওপর হামলার তিন ঘণ্টারও কম সময়ে টি-শার্ট বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছে এক চীনা ব্যবসায়ী। টি-শার্টে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের ওপর হামলার মুহূর্তের ছবি। এর ওপরে লেখা, ‘গুলি আমাকে আরো শক্তিশালী করেছে।
’এই টি-শার্ট দেখে বিস্মিত অনেকেই। কারণ, ট্রাম্পের ওপর হামলা ঘটনার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই টি-শার্ট তৈরি করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এর জবাব দিয়েছেন টি-শার্ট প্রস্তুতকারী সংস্থাটির অন্যতম কর্ণধার লি জিনওয়েই।
তিনি জানিয়েছেন, তারা ট্রাম্পের ওপর হামলার একটি ছবি ডাউনলোড করেন। এরপর ডিজিটাল প্রিন্টিং টেকনোলজির সহায়তায় দ্রুত টি-শার্টের উপর ছবিটি ছাপানো সম্ভব হয়েছে।
লি জিনওয়েই বলেন, ট্রাম্পের ওপর হামলার পরেই এই বিষয়ে টি-শার্ট চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের প্রায় ২ হাজার জন আবেদন করেন। আমরা তাদের জন্য দ্রুতই টি-শার্টটি প্রস্তুত করি। তার পরই অনলাইনে ওই টি-শার্টগুলো বিক্রির জন্য ছেড়ে দিলেনই হু হু করে বিক্রি হতে শুরু করে।
স্থানীয় সময় শনিবার ৬টা ২ মিনিটে ট্রাম্প মঞ্চে ছিলেন। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি হাত নাড়ছিলেন। তিনি সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড় নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমালোচনা করছিলেন। ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গুলির আওয়াজ আসে। ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ভেদ করে চলে যায় একটি গুলি। সিক্রেট এজেন্টরা মঞ্চে গিয়ে ট্রাম্পকে ঘিরে ফেলেন।
এমন সময় ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, আমাকে জুতা নিতে দাও, আমাকে জুতা নিতে দাও। হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করার আগে তিনি বলছিলেন, অপেক্ষা করো, অপেক্ষা করো, অপেক্ষা করো।
সভায় উপস্থিত বাকিরাও এ সময় নিচু হয়ে বসে পড়েন। দ্রুত সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যান তার নিরাপত্তারক্ষীরা। সভাস্থলে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নিহত। সভায় উপস্থিত এক দর্শকেরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, দুটি সূত্র তাদের নিশ্চিত করেছে যে, কানে গুলি লাগার পর ট্রাম্প স্থানীয় যে হাসপাতালে এসেছিলেন, চিকিৎসা শেষে তিনি সেখান থেকে চলে গেছেন। তবে, তিনি ঠিক কোথায় যাচ্ছেন সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। বাটলারের সমাবেশের পর তার নিউ জার্সিতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল।
মন্তব্য করুন: