প্রকাশিত:
২৩ জুলাই ২০২৩, ১৩:২৮
শ্রাবনের আকাশ ভরা রোদ তো আবার ঘন বর্ষার হাতছানি। দেখা যাচ্ছে দিনের বেলায় প্রচুর গরম আবার তার ভেতরে হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলো।
কেউ কেউ একটু বৃষ্টিতেও ভিজলেন আবার প্রচুর গরম থেকে ঘেমে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেল। আর এতেই খুলনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই জ্বরে। আবার অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জ্বরে ভুগছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া পরিবর্তন ও তাপমাত্রা তারতম্যের কারণে জ্বরে আক্রান্ত রোগী এখন ঘরে ঘরে। বিভিন্ন হাসপাতালে জ্বর-কাশিজনিত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকেও জ্বর-কাশির রোগী রেফার করা হচ্ছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ও খুলনা শিশু হাসপাতালে। ফ্লুজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও।
আবহাওয়া পরিবর্তনের এ গরম-ঠাণ্ডার মধ্যে প্রায় প্রতিটি পরিবারে মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় গত কয়েক দিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শরীর ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগী প্রচুর দেখা যাচ্ছে।
জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন ফ্লুজনিত রোগীর অস্বাভাবিক চাপ দেখা দিয়েছে হাসপাতালগুলোতে। বহির্বিভাগ ও শয্যার অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি এক শিশুর বাবা আরাফাত বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে শিশুকে ভর্তি করেছি। হাসপাতালে এ ধরনের শিশুর সংখ্যাই বেশি।
খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাইফুল ইসলাম নামে এক রোগী বলেন, হাসপাতালে রোগীর সীমাহীন চাপ। এত বড় লাইন দেখে মনে হচ্ছে প্রতি ঘরে ঘরেই যেন মানুষ অসুস্থ।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গুরোগী বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের।
এদিকে খুমেক হাসপাতালে ৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন ডেঙ্গুরোগী।
রোববার (২৩ জুলাই) সকালে খুমেক হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চলতি বছরে খুলনায় সর্বমোট ২২০ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। বর্তমানে হাসপাতালে ৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন।
মন্তব্য করুন: