প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৯
কারাগার জনাকীর্ণ হয়ে পড়েছে, নতুন বন্দি রাখার জায়গা নেই। এ কারণে কয়েক হাজার কয়েদিকে সাজা পূরণ হওয়ার আগেই মুক্তি দিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। গত সপ্তাহে এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নতুন বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ।
তিনি জানিয়েছেন, পুরুষ কয়েদিদের জন্য ব্রিটিশ কারাগারগুলোতে মাত্র ৭০০টি জায়গা খালি রয়েছে। ২০২৩ সাল থেকেই কারাগারগুলোর ৯৯ শতাংশ ধারণক্ষমতা পূরণ হয়ে রয়েছে।
এ অবস্থায় নতুন কয়েদিদের রাখার জন্য কয়েক হাজার পুরোনো কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। অন্যথায়, দেশটির আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কারাগারগুলোতে মাথাপিছু বন্দির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চার বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত সহিংস অপরাধী, যৌন অপরাধী, গার্হস্থ্য নির্যাতনের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য আগাম মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।
এর আগে, কারাগারের প্রধান পরিদর্শক চার্লি টেলর বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের কারাগারগুলো ‘ব্রেকিং পয়েন্টে’ রয়েছে। এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
গত সপ্তাহের নির্বাচনে লেবার পার্টির ভূমিধস জয়ের পর আইনমন্ত্রী পদে নিয়োগ পান শাবানা মাহমুদ। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কারাগারগুলোতে জায়গা ফুরিয়ে গেলে ‘বিপজ্জনক লোকভর্তি’ গাড়িগুলো সারা দেশে ঘুরে বেড়াতে পারে। কারণ তখন সেগুলোর যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে বিচার ব্যবস্থা ধসে পড়তে পারে। আর তাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, অর্ধেক সাজা ভোগ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য বন্দিদের স্বাভাবিকের চেয়ে আগে মুক্তি দেওয়া হবে।
আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে তাদের আগাম মুক্তি দেওয়ার কার্যক্রম।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ১২ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মোট বন্দির সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৫০৫ জন। এদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৮০০ জনের বেশি পুরুষ।
মন্তব্য করুন: