প্রকাশিত:
১৮ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৩
প্রিয় স্বামী, যেহেতু আপনি অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে ব্যস্ত আছেন, তাই আমি আমাদের তালাক ঘোষণা করছি। আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি, আমি আপানাকে তালাক দিচ্ছি এবং আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি।
নিজের যত্ন নেবেন। আপনার সাবেক স্ত্রী।
বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রামে স্বামী শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুমকে ‘ডিভোর্স’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুবাই রাজকন্যা শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
এ দম্পতির সংসারে তাদের প্রথম সন্তানের জন্মের দুই মাস অতিবাহিত না হতেই এ ঘোষণা দিলেন শেখ মাহরা।
এদিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলেছে। অনেকেই লক্ষ্য করেছেন যে, এই দম্পতি একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন এবং নিজেদের প্রোফাইল থেকে একে অপরের সমস্ত ছবিও মুছে দিয়েছেন। কেউ কেউ অনুমান করেছিলেন যে, এই জুটি একে অপরকে ব্লক করেছেন। আবার অনেকে ভাবছেন, শেখ মাহরার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি-না।
দুবাই রাজকন্যার ওই পোস্টের কমেন্টে একজন লিখেছেন, খারাপ সংবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।
আরেকজন লিখেছেন, আমি গর্বিত, আপনার সিদ্ধান্তের জন্য।
অপর এক ব্যবহারকারী রাজকন্যাকে তার সাহসিকতার জন্য প্রশংসা করে লিখেছেন, এটি জীবনের একটি পর্যায় এবং এটি ভালো-মন্দ উভয়ের মধ্য দিয়েই চলতে থাকবে এবং জীবন কারও জন্য থেমে থাকবে না।
অন্য একজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, কিন্তু ডিভোর্স তো স্বামীর পক্ষ থেকে হবে, তাই না? স্ত্রীর তো স্বামীকে তালাক দেওয়ার সুযোগ নেই?
যাইহোক, শেখ মাহরা ও শেখ মানারের মধ্যে বিয়েটা অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের মে মাসে। বিয়ের ১২ মাসের মাথায় এই দম্পতি তাদের প্রথম কন্যা সন্তানকে স্বাগত জানায়। শেখ মাহরা সে সময় তার সন্তানের জন্ম দেওয়ার বিষয়টিকে ‘জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন। পাশাপাশি তখন একটি ছবিতে তার স্বামী শেখ মানাকে তাদের সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করতেও দেখা যায়।
এদিকে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে রাজকুমারী মাহরা তার ইনস্টাগ্রামে একটি রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। যেখানে তার শিশু সন্তানকে আলিঙ্গন করা ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘শুধু আমরা দুজন’। ওই পোস্টটিই কি ডিভোর্সের এই ঘোষণার পূর্ব সংকেত বা সম্ভাব্য ইঙ্গিত ছিল? এমন প্রশ্নও উঠছে এখন।
শেখ মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক আইনজীবী এবং স্থানীয় একজন ডিজাইনার। মাহরা যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডিগ্রি এবং মোহাম্মদ বিন রশিদ সরকারি প্রশাসন থেকেও কলেজ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মন্তব্য করুন: