প্রকাশিত:
৪ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:১৫
বগুড়ার শেরপুরে পুলিশ বক্সে আগুন ও থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টাকালে সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ত্রিশজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। রোববার (০৪ আগস্ট) বেলা এগারোটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত দফায় দফায় এই হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথমদিনে রবিবার সকাল দশটার দিকে শহরের তিনদিন থেকে ছাত্র-জনতার ব্যানারে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিলগুলো শহরের ধুনটমোড় এলাকায় একত্রিত হয়ে অন্তত হাজার হাজার মানুষ পুলিশকে ধাওয়া দেন। এসময় পুলিশ পিছু হটলে সেখানে স্থাপিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেন তারা। পরে শহরের বাসস্ট্যান্ডস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর থানা ঘেরাও ও হামলার চেষ্টা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
এসময় পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। কিছু সময় পরেই আবারো সংগঠিত হয়ে থানায় হামলার চেষ্টা চালান তারা। এভাবে কয়েকদফা ঘেরাও ও হামলার চেষ্টা চালালেও পুলিশ তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। তবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা এ প্রসঙ্গে বলেন, ধুনটমোড় পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার পর থানায় হামলার চেষ্টা চালায় আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। তবে কী-পরিমান টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে-তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন: