প্রকাশিত:
৭ আগষ্ট ২০২৪, ১৫:৩০
দেড় যুগ আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানের আসনে আসীন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হয়ে ওঠেন দেশবাসীর গর্বের মানুষ। এরপর ইউনাইটেড স্টেটস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ইউনাইটেড স্টেটস কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পান তিনি। এই তিনটি পুরস্কারজয়ী ইতিহাসের মাত্র সাতজনের একজন তিনি।
বিশ্বের ৪৩টি দেশের ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসাকেন্দ্রিক বিভাগ, সেন্টার বা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম রয়েছে। যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার বলা হয়।
এছাড়াও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২৪টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬১টি ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ৩৩টি দেশ থেকে পেয়েছেন ১৩৬টি সম্মাননা। দেশে গড়ে তুলেছেন প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনকে এক সুতোয় বুনে বিশ্বকে শিখিয়েছেন ভিন্ন ব্যবসায় পরিকল্পনা।
গত ১৬ বছর ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নানা অভিযোগে হয়রানি করেছে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কাঠামো। এমনকি তাঁকে পদ্মার পানিতে ডুবানোর ইচ্ছাও জানিয়েছিলেন সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুনে মানিলন্ডারিং আইনের মামলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, অভিশপ্ত জীবনের অংশ।
সেই ইউনূসই এখন হচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবন প্রেস উইং জানিয়েছে, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হচ্ছে। তবে এই সরকারের অন্য সদস্য কারা হচ্ছেন তা এখনও ঠিক হয়নি। প্রেস উইং জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অন্যদের নাম জানানো হবে।
এবার দেশের সর্বোচ্চ নির্ধারক হয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চান ৮৪ বছর বয়সী ড. ইউনূস। ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেলো বাংলাদেশ। দেশের ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন শিক্ষার্থী ও তরুণেরা।’
সাক্ষাৎকারে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কথা উড়িয়ে দেন ড. ইউনূস। বলেন, ‘রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েই দেশের জন্য কাজ করতে চাই।’
মন্তব্য করুন: