প্রকাশিত:
১০ আগষ্ট ২০২৪, ২১:৩৬
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলছেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন অত্যন্ত সম্মানী ব্যক্তি। তিনি দেশবাসীর সামনে কথা বলছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যতোগুলো হত্যা কান্ড হয়েছে, প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড মনির উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বিরের (নিহতের নানার বাড়িতে) স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি আরও বলেন, আমরা এমুহূর্তে সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। এ সরকারকে সহায়তা করা এখন আমাদের কাজ। সেইজন্য আমরা পাড়া-মহল্লায় সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান করছি। এ সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে সবাই মিলে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
এর-আগে এ্যানি জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন সাবু, হারুনুর রশিদ, এডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ প্রমুখ।
পরে তিনি সাব্বিরের বাবা আমির হোসেনকে সাথে নিয়ে তার মা মায়া আক্তার, স্ত্রী ত্ত্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাদের সান্তনা দেন। এ সময় তিনি নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে জেলা বিএনপি তাদের পাশে থাকার বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
নিহত শিক্ষার্থী সাব্বিরের পরিবারের পক্ষ থেকে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী ট্রাফিক চত্বরকে 'শহীদ সাব্বির চত্বর' নামকরণ করার জন্য দাবি তুলেন। তখন জবাবে এ্যানি বলছেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হলে আপনাদের এ প্রস্তাবনার কথা আমরা তুলে ধরবো।
নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের চৌধুরী মাঝি বাড়ির মো. আমির হোসেনের ছেলে। সে দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
উল্লেখ্য: গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে সাব্বিরসহ ৪ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।
মন্তব্য করুন: