প্রকাশিত:
২৫ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৭
‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ’ অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল রেলমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, তামাক মুক্ত দেশ অর্জনের জন্য তামাক চাষ কমানোটা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে তামাক চাষ কমে এলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তামাক চাষ হচ্ছে। এগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ জন্য প্রয়োজনে আমাদের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন করতে হলে করা হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজামউদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়ক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট কোঅরডিনেটর ইফতেখার মুহসিন রেলমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন, যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সংসদ সদস্যদের গৃহীত পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরে।
এছাড়াও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর পাঠানো ১৫২ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত আরেকটি সুপারিশের চিঠিও রেলমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের প্রতিনিধি দল তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের চূড়ান্ত খসড়াটি কেবিনেট ডিভিশন থেকে সংসদে উত্থাপন ও পাশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে তার পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তামাক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
দেশের প্রায় চার কোটির কাছাকাছি মানুষ অত্যন্ত ক্ষতিকর তামাক ব্যবহার করেন। বছরে দেশের প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। তামাক নিয়ন্ত্রণে ছয়টি বিষয় মাথায় রেখে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাবিত খসড়ায় রয়েছে, জন সম্মুখে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়স্থলে তামাক দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, খুচরা বিক্রি বন্ধ করা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার ওপর জোর দেওয়া এবং ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) নিষিদ্ধ করা।
মন্তব্য করুন: