রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
  • অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না
  • এবার কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ২৪ লাখ
  • স্থায়ী একটি গণমাধ্যম কমিশনের সুপারিশ করেছি
  • হাসিনা-পুতুলসহ পেছালো ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার প্রতিবেদন
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো চুক্তি করেনি সরকার
  • হজযাত্রীদের ভিসা আবেদন সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে করতে হবে
  • ঐকমত্যের জুলাই সনদ তৈরিতে সবাইকে একটু ছাড় দিতে হবে
  • নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড

রাত জেগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরের রাজপথ দখল নিলেন নারীরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৫ আগষ্ট ২০২৪, ১২:৫৬

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে রাজপথে নেমে এসেছেন অসংখ্য নারী।

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাস্তার দখল নিতে শুরু করেন নারীরা। যাদবপুর একাডেমি, কলেজ স্ট্রিট ছাড়াও শহরের প্রতিটি কোণা এবং জেলায় জেলায় চলে জমায়েত। এমনকি রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে মুম্বাই, বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতেও নারীরা রাত জেগেছেন আর জি করে সংঘটিত ধর্ষণ ও হত্যার ন্যায়বিচার দাবিতে।

নারীনেত্রী রিমঝিম সিনহা ‘রাত দখল করো’ কর্মসূচির ডাক দেন। এর অংশ হিসেবে বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন রাজপথে নারীরা নেমে আসেন।

ফলে কলকাতা থেকে কুচবিহার, বনগাঁ থেকে বেহালা, সর্বত্রই রাতের রাজপথ চলে গেছে নারীদের দখলে। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে পথে নেমে পড়েছেন শত শত নারী। তাদের সঙ্গ দিচ্ছেন পুরুষরাও। কারও হাতে মশাল, কেউ জ্বেলেছেন মোবাইলের টর্চ। প্রত্যেকের দাবি একটাই, আর জি কর ঘটনার সুবিচার চাই। সবার মুখে গর্জে উঠছে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। শুধু কলকাতা নয়, সার্বিকভাবে গোটা রাজ্যের চিত্রটা একইরকম।

ভারতের সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজের মতো জায়গায় যদি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে কোন ভরসায় মেয়েদের পড়তে পাঠানো হবে? ন্যায়বিচারের বদলে দোষী ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে।

কর্মসূচি চলাকালে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতরা সেখানে হামলা চালিয়েছে বলে ওই মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন। তবে এখন তারা নিরাপদে আছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট এই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে দিয়েছে। এরপর বুধবার সকালেই তদন্তকাজ শুরু করে সিবিআই। তদন্তের জন্য দিল্লি থেকে এসেছে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করছে তারা।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই চিকিৎসকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করার প্রমাণও পাওয়া গেছে। শরীরে পাওয়া গেছে রক্তক্ষরণের চিহ্ন। এসব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পুলিশের একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার তলায় ডিউটি শেষ করে বিশ্রাম নেওয়া এক চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে আর জি কর হাসপাতালসহ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি।

বুধবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিবাদী মিছিলে প্রকম্পিত ছিল পশ্চিমবঙ্গ। তাদের একটাই দাবি, দোষীদের শাস্তি দেওয়া এবং প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদেরও প্রকাশ্যে আনা।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর