প্রকাশিত:
১৮ আগষ্ট ২০২৪, ১১:৫৮
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে।
যদিও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। আবার সমূহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এখনই খুলছে না। ভিসি-প্রোভিসিদের পদত্যাগের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহিংস পরিস্থিতির এক মাস পর মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলে খুললো। প্রথম দিন পরিস্থিতি দেখে পরদিন থেকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়বে। আর সকাল থেকে মেঘলা আকাশের কারণেও শিক্ষার্থীও কম।
রাজধানীর কয়েকটি স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে প্রথম দিন দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। কোনো কোনো স্কুলে দেয়াল লিখন এবং দেয়ালে গ্রাফিতি আর্ট করছে শিক্ষার্থীরা।
পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষক জানান, প্রথম দিন শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই কম। তাদের স্কুলে দোয়া মাহফিলের আয়োজনও করা হয়েছ।
রাজধানীর আরও কয়েকটি স্কুলে খোঁজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকার বিষয়টি জানা গেছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১৪ আগস্ট থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে সেখানেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে রোববার থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার অনুরূপ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ আগস্ট রোববার হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে পাঠদান বন্ধ আছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষকদের পেনশন স্কিম সংক্রান্ত আন্দোলনের কারণে ১ জুলাই থেকে বন্ধ। পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক ভিসি পদত্যাগ করায় সেগুলোর একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন: