প্রকাশিত:
২০ আগষ্ট ২০২৪, ১৪:০৭
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে নেতানিয়াহু রাজি। হামাসকেও তা মেনে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) তেল আবিবে ব্লিঙ্কেন বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে। সেখানে নেয়ানিয়াহু তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন হামাস তা মেনে নিক।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে।’
হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশ। ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এটা নির্ণায়ক মুহূর্ত। যুদ্ধবিরতি করে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।’
ব্লিঙ্কেন এখন কাতার যাচ্ছেন। কাতারও মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে, তবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এই সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কাও থেকে যাবে।
এই সপ্তাহের শেষদিকে মিসরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে এ নিয়ে ৯ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিঙ্কেন।
এদিকে নেতানিয়াহু জানান, তার সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক সার্থক হয়েছে। এই সময় কেউ যেন এমন কোনো কাজ না করে, যাতে এই প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, রোববার তেল আবিবে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে হামাস ও ইসলামিক জেহাদ। এই বিস্ফোরণে একজন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। হামাস ও ইসলামিক জেহাদ জানিয়েছে, তারা এই আত্মঘাতী হামলা করেছে।
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, ব্যাকপ্যাক ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে একজন ফিলিস্তিনি যাচ্ছিলেন। জনবহুল জায়গায় যাওয়ার আগেই সেটির বিস্ফোরণ হয়।
ব্লিঙ্কেন তেল আবিবে পা রাখার ঘণ্টাখানেক আগে এই বিস্ফোরণ হয়। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১০ মাসের সংঘাতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ তাদের সেনাকে লক্ষ্য করে একাধিক আক্রমণ করেছে। তার ফলে একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
হিজবুল্লাহকে ইরান সমর্থন করে, তবে ইইউ তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে। হিজবুল্লাহর অভিযোগ, ইসরায়েলের সেনারা লেবানন সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়তে চাইছে।
মন্তব্য করুন: