সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার
  • সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ দুপুরে
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে লাহোর
  • বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা-রানি
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়

৩১ বছর পর বাঁধ খুলে দেওয়া হলো ত্রিপুরায়, বাংলাদেশে হু হু করে ঢুকছে পানি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২১ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:২৮

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কয়েকদিন ধরে চলছে টানা ভারী বর্ষণ। অবিরাম এই বৃষ্টিপাতে সেখানকার বিভিন্ন জনপদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

ডুম্বুর জলাধারে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসায় কর্তৃপক্ষ সেখানে স্থাপিত বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে। ফলে উজানের ওই পানি ত্রিপুরার বিভিন্ন জনপদ ভাসিয়ে হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশে।

ত্রিপুরা টাইমস ও বোরোক টাইমসের প্রতিবেদনে ডুম্বুর জলাধারের বাঁধের স্লুইস খুলে দেওয়ার এ খবর জানানো হয়েছে। স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার ফলে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর ও কৃষি জমি ভেসে গেছে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বুধবার (২১ আগস্ট) তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে গোমতী জেলায় রাজ্যের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের ডুম্বুর জলাধারে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পানি জমা হয়ে পড়েছে, তাই যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে; এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকায় আগাম ঘোষণা দিয়ে জলাধার কর্তৃপক্ষ স্লুইস গেট খুলে বাড়তি পানি ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর ও কৃষি জমিতে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বোরোক টাইমস বলছে, ৩১ বছর পর ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ ডুম্বুর জলাধারের বাঁধের স্লুইস গেট খুলেছে। এর আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই ১৯৯৩ সালে বাঁধের স্লুইস গেট খোলা হয়েছিল। তবে সে সময়ের তুলনায় এবার বন্যা পরিস্থিতি অনেক বিস্তৃত। বাঁধ ভেঙে গেলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো, সেই আশঙ্কায়ই স্লুইস গেট আগে খুলে দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, রাজ্যের দক্ষিণ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলায়ও প্রায় আড়াইশো মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমন বৃষ্টিপাত আগে আর কখনো হয়নি।

এভাবে অবিরাম বৃষ্টি চললে নতুন করে আরও অনেক জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্যে, আরও দুদিন এমন বৃষ্টিপাত চলতে পারে।

এদিকে ত্রিপুরার হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলা দিয়ে ঢুকছে এবং এর নিম্নাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে উজান থেকে বানের পানি ঢুকতে থাকায় ফলে ফেনী জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার উত্তরের তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি এখন পানির নিচে। সদর উপজেলা, সোনাগাজীর অনেক গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। বানের পানিতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। জেলায় দুই শ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ইতোমধ্যে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী ও বিজিবি স্পিড বোট ও নৌকা নিয়ে মাঠে নেমেছে।

অন্যদিকে কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের অনেক নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ আরও কিছু জেলার নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর