প্রকাশিত:
২২ আগষ্ট ২০২৪, ১২:০৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ছাত্র জনতা।
বুধবার (২১ আগষ্ট ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছে প্রথমেই তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। অপরদিকে ১নং মাওনা ইউনিয়ন পরিষদে হামলা ভাংচুর করেছে দূর্বৃত্তরা। দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত হামলাকারীরা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষ ও হলরুমে ভাংচুর করে। হামলা ভাঙচুরের কিছুক্ষণ পূর্বেই চেয়ারম্যান অফিস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) এনামুল হক মোল্লা।
আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন,স্বৈরাচারী অবৈধ সরকারের আমলে নৌকা প্রতিক দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন আমরা মানিনা। অবৈধ ভাবে নির্বাচিতরা চেয়ার দখল করে জনগনের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। এসব চেয়ারম্যান মেম্বারগন ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষকে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করেছে। টাকা কামিয়ে নিয়েছে।
গত পাঁচ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হয়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান হাসিনা। এরপর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগন নিয়মিত পরিষদে আসেন না। যে কারণে জনগনকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট চেয়ারম্যান মেম্বারের অপসারণের দাবী সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান করেন।
এদিকে চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকন দুপুরে খাবার খেতে বাড়িতে যান। চেয়ারম্যান চলে যাবার কিছু সময় পরই পরিষদে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের কক্ষের চেয়ার টেবিল,গ্রাম আদালতের এজলাস,আলমারী, হলরুমের চেয়ার চেবিল, দরজা জানালার কাঁচসহ বিভিন্ন কক্ষে ভাংচুর করে। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকন জানান, পরিষদের উপর হামলা ও ভাঙচুর করার বিষয়টি গাজীপুরের জেলাপ্রশাসক ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে জানিয়েছি।
শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা জানান,ওই ইউনিয়ন পরিষদে উত্তেজনার কথা শুনেছি। চেয়ারম্যান রিপোর্ট দিলে ভাংচুরের বিষয়ে জানতে পারবো।
মন্তব্য করুন: