শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আল জাজিরার তথ্যচিত্রে ড. ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা
  • ‘ফেরেশতা এলেও কয়েক মাসে এ দেশকে ঠিক করতে পারবে না’
  • ব্যবসায়ীদের হুট করে রাজনীতিবিদ হওয়া নিয়ে যা বললেন শ্রম উপদেষ্টা
  • আইএমএফ বেশি শর্ত দিলে সরে আসবে বাংলাদেশ
  • টিসিবির ভুয়া কার্ড বাতিল করে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • যারা জুলাইয়ের বিপক্ষে ছিল তারা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে
  • ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়
  • বিমানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
  • সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান

পানিবন্দি ৬ লাখ মানুষ

বৃষ্টিপাতে তালিয়ে গেছে লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলা

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত:
২২ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:৩৭

অতি ভারী বৃষ্টিপাতে তালিয়ে গেছে লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে আছে জেলার ৬ লাখ মানুষ।


গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের পানি নামতে না পারায় বাড়ির উঠান, মাঠ-ঘাট, পুকুর, জলাশয়, ফসলি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কারও কারও ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছচাষিরা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ভেসে গেছে। এতে পুকুরের সব মাছ বের হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য চাষিরা। এ কয়েকদিনেই জেলাব্যাপী মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে মৎস্যবিভাগ৷ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।


তিনি জানান, জেলাতে প্রায় ৫৪ হাজার পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার পুকুরের ৯০ শতাংশ ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর মাছ চাষের জলাশয়। মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, যেভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, এতে আরও পুকুর ভেসে যেতে পারে। তাই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা ছোট-বড় প্রায় সবগুলো খালেই অবৈধ বাঁধ এবং দখলদারের কবলে পড়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের হিসেব মতে, জেলাতে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেনি। জেলায় ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মানুষের বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে।


স্থানীয় পানিবন্দি ফারুক হোসেন, লোকমান হোসেনের, বশির উল্লাহ, নিজাম উদ্দিন, ইয়াছমিন বেগম, পলি আক্তার, মোস্তফা মিয়া ও আমির হোসেন জানান, পানিবন্দি হয়ে অনেকে রান্না করতে পারেননি। শুকনো খাবার খেতে হচ্ছে অধিকাংশ পরিবারকে। আবার অনেককে দেখা গেছে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে।


অপরদিকে বৃষ্টির পানি মেঘনায় নেমে যেতে জেলার ছোট-বড় সবগুলো স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে লক্ষ্মীপুরের সবগুলো স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মীরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। মেঘনা নদীতে ভাটা পড়ার সময় স্লুইস গেট দিয়ে খালের পানি নদীতে নেমে যাচ্ছে। নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়লে গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।


লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, বিভিন্ন খালে প্রতিবন্ধকতা থাকায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নামতে পারছে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জেলার ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ করছেন।


তিনি আরও জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর