প্রকাশিত:
২৫ আগষ্ট ২০২৪, ১০:৫০
এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলার প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতি হয়েছে ৮৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই পরিমাণ আরও বাড়বে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) এ তথ্য জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান।
তিনি আরও বলেন, মৌলভীবাজারে এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত গবাদি পশুর সংখ্যা ২২ হাজার ৬৯০টি। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হাঁস-মুরগির সংখ্যা ৬১ হাজার ১০৯টি। বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ৫২টি হাঁস-মুরগি ও একাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
মৌলভীবাজারের নদ-নদীগুলোতে আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে বানের পানি। পানি কমতে শুরু করেছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতেও। তবে পানি কমলেও আশঙ্কা কাটেনি শতভাগ। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় এরইমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত তিন দিনে বন্যার কবলে পড়ে মৌলভীবাজার জেলায় প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮৪ লাখ টাকা।
বন্যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ৫৩টি গবাদি পশুর খামার ও ৩৫টি হাঁস-মুরগির খামার প্লাবিত হয়েছে। এসব জায়গায় অনেক প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেসরকারিভাবে অনেক জায়গা থেকে অসংখ্য গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন বলছে, এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় ১ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পেরেছেন মাত্র ৭ হাজার ১৪৫ জন। জেলা জুড়ে বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৬২টি মেডিক্যাল টিম কাজ করে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৫১৬ মেট্রিক টন চাল বিভিন্নভাবে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে নগদ বিতরণ করা হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন: