মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫, ৩রা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সব জেলায় অসহায় মানুষের কল্যাণে হবে সেবামূলক মেলা
  • লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
  • ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের বৈঠক
  • সরকারি কর্মচারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন আইন উপদেষ্টা
  • শেখ মুজিবের মতো হাসিনাও একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল
  • শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
  • ফের আন্দোলনে কর্মচারীরা, সচিবালয়ে গণজমায়েত আজ
  • ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বিশ্ববাজারে আজও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
  • ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না

এবিবি

৬১ ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা ত্রাণ পাওয়া সম্ভব

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৬ আগষ্ট ২০২৪, ১২:১৬

সরকারি-বেসরকারি ৬১টি ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকার বেশি ত্রাণ সহায়তা পেতে পারে বন্যাদুর্গতরা। কারণ, সব ব্যাংক মাত্র পাঁচ কোটি টাকা করে দিলেও ৩০৫ কোটি টাকা জমা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, সাংগঠনিক উদ্যোগ না থাকলে নিজস্ব উদ্যোগে হলেও ব্যাংকগুলোকে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি খাতে ২০২৩ সালে ৯২৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ব্যাংক খাত।


এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা হয়েছে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২৭১ কোটি ১৯ লাখ। কিন্তু চলমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে খুব বেশি ব্যাংকের অংশগ্রহণ চোখে পড়ছে না। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছে এসব ব্যাংক।

এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক দুই কোটি, ব্র্যাক ব্যাংক পাঁচ কোটি, এনআরবিসি ব্যাংক এক কোটি এবং অন্যান্য কিছু ব্যাংকের কর্মকর্তারা এক দিনের বেতন দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যাংকারদের মতে, দেশের ক্রান্তিলগ্নে সব করপোরেটেরই এগিয়ে আসা উচিত।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মো. নুরুল আমিন  বলেন, বন্যাদুর্গতদের পাশে সবাইর এগিয়ে আসা উচিত। এত দিন ব্যাংকার্সদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দেওয়া হতো।


কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফরম নেই। তাই ব্যাংকগুলোকে নিজেদের উদ্যোগেই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। যদি মুনাফা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে বন্যার্তদের সহায়তা করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ব্যাংক ব্যয় করেছিল চার কোটি ৯২ লাখ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যয় করেছিল ৪৯ কোটি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক দিয়েছিল ছয় কোটি ৪০ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ, এনসিসি ব্যাংক পাঁচ কোটি ২৬ লাখ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সাত কোটি ২৬ লাখ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সাত কোটি ৩৬ লাখ এবং ইউনিয়ন ব্যাংক ২৩ কোটি ২৩ লাখ।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরিফ হোসেন বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি এবং আমি বলব যাতে সব ব্যাংক এগিয়ে আসে।


এবিবির পক্ষ থেকেও দুই কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’
এরই মধ্যে অনেক ব্যাংকই ঘোষণা দিয়েছে এবং এই সপ্তাহের মধ্যে বাকিরাও বন্যার্তদের ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর