প্রকাশিত:
২৬ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৫৩
বেলুচিস্তানের মুসাখেল জেলায় অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিরা বাস থামিয়ে অন্তত ২৩ যাত্রীকে একে একে গুলি করে হত্যা করেছে। এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাক ও বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ব্যক্তিগত পরিচয় যাচাই করে এবং গুলি করে হত্যা করে। তারা পাঞ্জাবের বাসিন্দা, এ বিষয়টি নিশ্চিতের পর তাদের ওপর গুলি চালায় আততায়ীরা। স্থানীয় সময় আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
সহকারী কমিশনার (এসি) নাজিব কাকার জানান, কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি মুসাখেলের রারাশাম এলাকায় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে রাখে। তারা বাস থেকে যাত্রীদের বের হয়ে আসতে বলে তাদের ওপর গুলি চালায়। তিনি জানান, নিহতরা সবাই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তিনি আরো জানান, সশস্ত্র ব্যক্তিরা ১০টি গাড়িতে আগুনও দিয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাতে শুরু করেছে।
এএফপিকে দেওয়া মন্তব্যে এসি কাকার বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে তিনজন বেলুচিস্তানের এবং বাকিরা পাঞ্জাবের বাসিন্দা।’ তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাব থেকে আসা যানবাহনগুলো আটকানো হচ্ছিল। পাঞ্জাব থেকে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গুলি করা হয়েছিল।’
কারা এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। তিনি এই 'সন্ত্রাসীদের' দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
এ বছর এ ধরনের ঘটনার মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলা।
গত এপ্রিলে বেলুচিস্তানের নোশকি শহরের কাছে একটি বাস থেকে নয়জন যাত্রীকে নামিয়ে নেওয়া হয় এবং বন্দুকধারীরা তাদের আইডি কার্ড চেক করার পরে গুলি করে হত্যা করে।
গত কয়েক বছরে একই ধরনের হামলা হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছরের অক্টোবরেও অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বেলুচিস্তানের কেচ জেলার তুরবাতে পাঞ্জাবের ছয় শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ জানায়, টার্গেট করেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহতরা সবাই দক্ষিণ পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। জাতিগত কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
২০১৯ সালেও বন্দুকধারীরা গোয়াদর জেলার কাছে ওরমারার কাছে একটি বাস থামিয়ে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের কর্মীসহ মোট ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ছাড়া ২০১৫ সালেও তুরবাতে দিনমজুরদের শিবিরে সূর্যোদয়ের আগে হামলা চালিয়ে ২০ জন পাঞ্জাবি কর্মীদের হত্যা করে বন্দুকধারীরা।
মন্তব্য করুন: