বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ডঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যত গুলি টেকনোলজির প্রয়োজন আছে সব লেটেস্ট টেকনোলজি এই ইউনিভার্সিটিতে ডিপার্টমেন্ট চালু হচ্ছে। এই ১৭টি ডিপার্টমেন্ট যদি চালু করা সম্ভব হয়। আশা করি বিদেশ থেকে আর কোন টেকনোলজি বাংলাদেশে আনতে হবে না। যত প্রকারের টেকনোলজি দরকার সব টেকনোলজি কালিয়াকৈরের ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে উদ্বাবন হবে এবং কালিয়াকৈরের সকল ইন্ডাস্ট্রিসহ দেশের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় এ টেকনোলজি ব্যবহার করতে পারবে।
এক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আর কোন টেকনোলজি আনতে হবে না। আমরা সেই ভাবেই আগাচ্ছি। তিনি বুধবার কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি’র নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
এছাড়া সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা হচ্ছেন আমাদের মুখপাত্র। ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে উদ্ভাবিত টেকনোলজি সম্পর্কে বাংলাদেশের অনেকে জানে না যে বিষয় গুলি, সেই বিষয় গুলো, আপনারা জনসন্মুখে তুলে ধরবেন। এতে আমাদের উদ্ভাবনকৃত টেকনোলজি সম্পর্কে দেশসহ বিদেশীরাও জানতে পারবে। আমরা টেকনোলজি রপ্তানী করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবো। এই ইউনিভার্সিটি হচ্ছে বাংলাদেশে একমাত্র ইউনিভার্সিটি যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসেই সবকিছুই শেখা হয়। ক্লাসে শুধু পড়াটা শিখানোই হয় না এই নলেজ টি কোথায় এপ্লাই করবে তারও ব্যবস্থা করা হয়। ইতো মধ্যেই গত তিন মাসে ছাত্ররা ৪০টি রোবট তৈরি করেছেন।
আমরা সাইবার সিকিউরিটি ও ডেটা সাইন্সে ছাত্র ভর্তি করতে যাচ্ছি আগামী জানুয়ারিতে। আগামী জানুয়ারি থেকে এই ইউনিভার্সিটিতে আরও তিনটি ডিপার্টমেন্ট শুরু হবে। এই ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের কোথাও নাই। ডেটা সাইন্স হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশ তথ্যের যুগ, ডেটার যুগ। আমাদের ছেলেমেয়েরা ডেটার মাধ্যমে লেখাপড়া করবে প্রথম বারের মতো।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ঢাকা ইউনিভার্সিটিসহ আর কিছু ইউনিভার্সিটিতে আছে। এটার ডিমান্ড অনুসারে আমরা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্ট খোলার চিন্তা-ভাবনা করছি। এখানে এত সুন্দর একটি ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি সময় ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম নিয়ে থাকেন। এটা আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমাদের এখানে যে সাবজেক্ট গুলি শুরু করেছি এই সাবজেক্ট গুলি বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। ইউএসএ আছে এবং চায়নাতে কিছু আছে। বাংলাদেশের আর কোথাও এই সাবজেক্ট গুলি নাই। আমরা যে এডুকেশন সিস্টেম চালু করেছি এটাও বাংলাদেশে নাই। আমরা উন্নত দেশের সাথে কম্পিটিশন করে চালু করেছি। যে আমেরিকা থেকেও আমরা ভালো করতে পারি।
আমাদের তো বাড়ি ঘর নেই, জায়গা জমি নাই কিন্তু আমাদের তো ম্যানপাওয়ার আছে। আমাদের কিছু আইডিয়া আছে, কিছু কনসেপ্ট আছে। সেই আইডিয়া বা কনসেপ্ট থেকে যতটুকু এগিয়ে যেতে পারি। তিনি ইউনিভার্সিটির সম্পর্কে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি এটা আসলে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য এটা তৈরি করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল তৈরি এবং গবেষণা করা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করাই হচ্ছে এই ইউনিভার্সিটির দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী যে কনসেপ্ট নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে সেই কনসেপ্টটাকে শক্তিশালী করার জন্য যে জনবল দরকার, যে টেকনোলজি দরকার, সেই টেকনোলজি উদ্ভাবিত হবে এই ইউনিভার্সিটিতে ।
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গবেষণা এবং উদ্ভাবনই ইউনিভার্সিটির দায়িত্ব। কাজেই এইটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের গতানুগতিক ইউনিভার্সিটির মতন এই ইনভারসিটি চলবে না। এই ইউনিভার্সিটি উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। আমাদের দেশের একটি নিয়ম হচ্ছে গ্রাজুয়েটরা চাকুরি পায় না এবং শিল্প মালিকরা টেকনোলজিস্ট পায় না। আমরা আশা করি আমাদের এখানে শিক্ষিত টেকনোলজিস্টদের চাকুরির অভাব হবে না।
এখানে টেকনোলজিস্ট তৈরি করা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য। আমাদের ইউনভার্সিটির ছাত্ররা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। যাতে ইন্ডিয়া বা শ্রীলঙ্কা থেকে লোক এনে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি চালাতে না হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইইউ বিভাগীয় চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ সহকারি অধ্যাপক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুজ্জামান, কারিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ ইমারত হোসেন, সাধারন সম্পাদক হুময়ুন কবির, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাগর আহাম্মেদ, সহ সভাপতি শেখর আহম্মেদ, মোশরাফ সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আফসার খাঁন বিপুল, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ফজলুল হক, অর্থ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম রায়হানসহ সকল সদস্য।
মন্তব্য করুন: