প্রকাশিত:
২৮ আগষ্ট ২০২৪, ১২:১০
নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের একক ক্ষমতা আবারও ফিরে পেল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
(২৭ আগষ্ট) মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে এসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে এক গেজেটে বিইআরসি আইনে ৩৪(ক) ধারা সংযোজন করে নির্বাহী আদেশে দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় নির্বাহী বিভাগকে।
বর্তমানে ৩৪(ক) ধারাটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালে হঠাত্ করেই আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে দাম সমন্বয় (কমবেশি) করার বিধান যুক্ত করা হয়। এর পর থেকে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করায় কার্যত বেকার হয়ে পড়ে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠানটি। বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে দাম চূড়ান্ত করায় ইউটিলিটিগুলোর নানা রকম অসংগতি সামনে আসত।
এতে তাদের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি হয়, দিনে দিনে এটি একটি কালচারে পরিণত হতে যাচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাহী আদেশে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল ভোক্তাদের সংগঠন ক্যাব ও অন্যরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম কর্মদিবসেই নির্বাহী আদেশের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের বিপক্ষে মত দেন।
১৮ আগস্ট তিনি বলেছিলেন, ‘আপাতত নির্বাহী আদেশে আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হবে না। দাম সমন্বয় করতে হলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে তা পাঠানো হবে। আর আইনটি সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।’
বিইআরসির সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে আইন পাসের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও আধাবিচারিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত হয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানিগুলোর জবাবদিহি এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত বিইআরসি মূলত ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন: