মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫, ২রা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সব জেলায় অসহায় মানুষের কল্যাণে হবে সেবামূলক মেলা
  • লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
  • ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের বৈঠক
  • সরকারি কর্মচারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন আইন উপদেষ্টা
  • শেখ মুজিবের মতো হাসিনাও একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল
  • শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
  • ফের আন্দোলনে কর্মচারীরা, সচিবালয়ে গণজমায়েত আজ
  • ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বিশ্ববাজারে আজও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
  • ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না
  • এবারের কোরবানিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে পশু আমদানি করা হয়নি

ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না প্রাথমিক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৮ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৫২

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আব্দুস সামাদকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে দপ্তরটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ঘোষণা দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) একই দাবিতে সমাবেশ করেন তারা। এরপর ডিজির রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ কিছু কর্মকর্তা ও কমচারী।

তারা জানান, বিগত সরকারের আমলে জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদান করেন বর্তমান মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ। যোগদানের পর থেকেই তার কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও আওয়ামীপ্রীতি প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনকে ক্ষত-বিক্ষত করছে। তার নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবন্ধ হয়ে মহাপরিচালকের দ্রুত অপসারণ দাবি করছেন।

ডিজির বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তারা বলেন, যোগদানের পরই তিনি ঘোষণা করেন যে, তার কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি সর্বদা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ পর্যন্ত অধিদপ্তরের ২০ জন কর্মকর্তা তার দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন। সরকার পতনের ১৫ দিন পর তিনি অফিস করা শুরু করেন। এরপর তার পছন্দের কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে গোপনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এছাড়া স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান (নিখিল) ডিও লেটারের সুপারিশের প্রেক্ষিতে তিনি নিয়ম বহির্ভূত মাঠ পর্যায় হতে একজন কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে পদায়ন করেন। বদলি-বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এই কর্মকর্তার একান্ত সহকারী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেকবার পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

গত সপ্তাহে চাপের মুখে উক্ত কর্মকর্তাকে ওই শাখা থেকে বদলি করে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করেন। এরপর আরও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হতে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর