প্রকাশিত:
২৮ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৫৪
দেশব্যাপী হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে জেলাভিত্তিক নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির ৩২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘হাই-টেক পার্কের জমি বরাদ্দ দেওয়া এবং বাতিল করার বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
তাই এই বিষয়ে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা পর্যালোচনা করা দরকার।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশব্যাপী হাই-টেক পার্ক তৈরি করা হয়েছিল সে অনুযায়ী প্রত্যাশিত ফল আমরা পাইনি। না পাওয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু রাজনৈতিক কারণ ছিল, কি পরিমাণ দুর্নীতি ছিল বা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে কোনো ঘাটতি ছিল কিনা সে বিষয়ে আরো পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো চিহ্নিত করা গেলে সামনের দিকে কাজ করা সহজ হবে।
এক্ষেত্রে বাইরের দেশগুলো কিভাবে কাজ করছে এবং আমাদের সক্ষমতার মধ্যে কিভাবে আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারি সেই বিষয়গুলো নিয়ে আরো স্টাডি করার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি খুব বড় প্রত্যাশা না রেখে প্র্যাকটিক্যাল কাজগুলো করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ আরো কয়েকজনের নামে হাই-টেক পার্কের ডরমেটরির নাম করণের প্রস্তাব করা হলে উপদেষ্টা তাতে সম্মত না হয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো তাড়াহুড়া করার দরকার নেই। আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি এমন ভাবে ধারণ করা হবে যাতে করে সেগুলো সারাজীবন থাকে।
’সভায় যশোর জেলায় অবস্থিত শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-এর প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট কম্পানিকে (পিএমসি) অব্যাহতি দিয়ে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন পিএমসি নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ারে বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে তাদের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ এবং তাদেরকে রেখেই টাওয়ারটি সংস্কার করা যায় কিনা সেই বিষয়ে আলোচনা হয়।
হাই-টেক পার্কে যারা বিনিয়োগ করবে তাদের লোন পাইয়ে দিতে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয় সভায়।
মন্তব্য করুন: