শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন চুক্তি না করার আহ্বান
  • সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য
  • হাসিনার বক্তব্যের ফরেনসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন
  • ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
  • শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়
  • শ্রমিকদের ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
  • ‘শ্রমিক-মালিকদের যৌথ প্রচেষ্টাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে’
  • মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে
  • জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো বরিশালের আমড়া
  • বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

বর্ষায় ভেঙেছে ৩২২ সড়ক, দুর্ভোগ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৯ আগষ্ট ২০২৪, ১১:০০

চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম শিল্প এলাকা বায়েজিদ বোস্তামী। এখানে রয়েছে পোশাক কারখানা, ইস্পাত কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা। কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের হাজারো গাড়ি চলাচল করে বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক দিয়ে। পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে চলাচলে দুর্ভোগের অন্ত নেই। নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত সড়কটিতে একটু পরপর ছোট-বড় গর্ত। কোথাও সড়ক দেবে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। সড়কের এমন অবস্থায় গাড়ি চালাতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। আবার খানাখন্দ এড়াতে গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে বেশি।

সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রাম শহরের অন্তত ৩২২টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সম্প্রতি নগরের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করেছে।

নগরের সড়ক সংস্কারে গত সাত বছরে ছয়টি প্রকল্পের আওতায় ৬৮৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার কয়েক বছর পার হতেই এসব সড়ক ভাঙতে শুরু করে। এ ছাড়া গত ছয় অর্থবছরে রাস্তা সংস্কার করতে এবং উপকরণসামগ্রী কিনতে নিজস্ব তহবিল থেকে ২৭৪ কোটি টাকা খরচ করেছে সিটি করপোরেশন।

প্রতিবছরই সড়ক ভেঙে যাওয়ার জন্য পুরোনো অজুহাতই নতুন করে দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা। তাঁরা বলছেন, জলাবদ্ধতার সময় পানিতে ডুবে থাকে সড়ক। এ কারণে সড়ক বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে নিম্নমানের কাজ ও পরিকল্পনার অভাবকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দেননি সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

যথাযথভাবে সড়ক নির্মাণ না করা, নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার এবং ঠিক সময়ে সংস্কারের অভাবে নগরের সড়কগুলো টিকছে না। এক কথায় যেসব কারণে সড়ক নষ্ট হয়, তার সবকিছু চট্টগ্রামে বিদ্যমান।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ ওমর ইমাম
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী  বলেন, ‘কাজের মান যে শতভাগ ঠিক আছে, তা বলব না। কাজের মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে।’ তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে নজর দিয়েছেন। একটি কমিটি গঠন করেছেন। কাজের গুণগত মান বজায় থাকে তা ঠিক করার ব্যাপারেও তাঁরা যথেষ্ট সতর্ক। সড়ক যাতে টেকসই থাকে, সে জন্য সিসি (সিমেন্ট-কংক্রিটের মিশ্রণ) ও ব্লক দিয়ে সড়ক করার পরিকল্পনা আছে।


সড়কজুড়ে গর্ত আর গর্ত

পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের কিছুটা ভালো অবস্থা আছে উড়ালসড়কের র‍্যাম্পের নিচের অংশ। তবে র‍্যাম্প থেকে নামার পর বেবি সুপারমার্কেট থেকে সড়কের খারাপ অবস্থা শুরু। এরপর অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত সড়কের প্রায় সব জায়গায় ছোট ছোট, কোথাও বড় বড় গর্ত রয়েছে।

নগরের প্রবর্তক মোড় থেকে ২ নম্বর গেট পর্যন্ত সড়কটিও বেহাল। পুরো সড়কেই গত আর খানাখন্দ। গর্ত ভরাট করতে কোথাও কোথাও ইট দেওয়া হয়েছে।

নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর একটি স্ট্র্যান্ড রোড। নগরের সদরঘাট থেকে আগ্রাবাদের বারিক বিল্ডিং মোড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে এ সড়ক। সড়কটি দিয়ে চলাচল করে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন। বছর তিনেক আগে এ সড়ক সংস্কার করেছিল সিটি করপোরেশন। কিন্তু এখন সড়কটিতে বড় বড় গর্ত। সড়কের পিচ (কার্পেটিং) উঠেছে আগেই। গাড়ি চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন চালকেরা।

নিম্নমানের কাজের কারণে নগরের সড়কগুলো টেকসই হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ ওমর ইমাম। তিনি  বলেন, যথাযথভাবে সড়ক নির্মাণ না করা, নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার এবং ঠিক সময়ে সংস্কারের অভাবে নগরের সড়কগুলো টিকছে না। এক কথায় যেসব কারণে সড়ক নষ্ট হয়, তার সবকিছু চট্টগ্রামে বিদ্যমান।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর